পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরোগ্য কর্মহীন প্রৌঢ় প্রভাতের ছায়াতে আপলোতে আমার উদাস চিন্তা দেয় ভাসাইয়৷ ফেনায় ফেনায় । স্পর্শ করি শূন্যের কিনার জেলেডিঙি চলে পাল তুলে, যুথভ্রষ্ট শুভ্ৰ মেঘ পড়ে থাকে আকাশের কোণে । আলোতে ঝিকিয়।-ওঠ। ঘট কাখে পল্লীমেয়েদের ঘোমটায় গুষ্ঠিত আলাপে গুঞ্জরিত বাক পথে অগস্রবনচ্ছায়ে কোকিল কোথায় ডাকে ক্ষণে ক্ষণে নিভৃত শাখায়, ছায়ায় কুষ্ঠিত পল্পীজীবনযাত্রার রহস্যের আবরণ র্কাপাইয়৷ তোলে মোর মনে । পুকুরের ধারে ধারে সর্ষেখেতে পূর্ণ হয়ে যায় ধরণীর প্রতিদান রৌদ্রের দানের, স্বর্ষের মন্দিরতলে পুষ্পের নৈবেদ্য থাকে পাতা । আমি শান্ত দৃষ্টি মেলি নিভৃত প্রহরে পঠায়েছি নিঃশবদ বন্দন৷ সেই সবিতারে র্যার জ্যোতিরূপে প্রথম মাতুয মর্তের প্রাঙ্গণতলে দেবতার দেখেছে স্বরূপ } মনে মনে ভাবিয়ছি, প্রাচীন যুগের বৈদিক মস্ত্রের বাণী কণ্ঠে যদি থাকিত অামার মিলিত আমার স্তব স্বচ্ছ এই আলোকে আলোকে । ভাষা নাই, ভাষা নাই ; চেয়ে দূর দিগন্তের পানে মৌন মোর মেলিয়াছি পাণ্ডুনীল মধ্যাহ্ন-আকাশে । উদয়ন ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১ ৷ দুপুর 8 ○