পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাহিনী সম্পদে কে থাকে ভয়ে, বিপদে কে একান্ত নিতীক, কে পেয়েছে সব চেয়ে, কে দিয়েছে তাহার অধিক, কে লয়েছে নিজ শিরে রাজভালে মুকুটের সম সবিনয়ে সগৌরবে ধরামাঝে দুঃখ মহত্তম— কহ মোরে সর্বদর্শী হে দেবর্ষি, তার পুণ্য নাম।” নারদ কহিলা ধীরে, “আযোধ্যার রঘুপতি রাম।” “জানি আমি জানি তারে, শুনেছি তাহার কীর্তিকথা”, কহিলা বাল্মীকি, “তৰু, নাহি জানি সমগ্র বারত, সকল ঘটনা তার-– ইতিবৃত্ত রচিব কেমনে । পাছে সত্যভ্রষ্ট হই, এই ভয় জাগে মোর মনে ।” নারদ কহিলা হাসি, “সেই সত্য যা রচিবে তুমি, ঘটে যা তা সব সত্য নহে । কবি, তব মনোভূমি রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনে ৷” এত বলি দেবদূত মিলাইল দিব্যস্বপ্নহেন স্বদুর সপ্তর্বিলোকে । বাল্মীকি বসিলা ধ্যানাসনে, তমসা রহিল মেীন, স্তব্ধতা জাগিল তপোবনে । সতী মিস ম্যানিং-সম্পাদিত দ্যাশনাল ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের পত্রিকায় মারাঠি গাখা সম্বন্ধে অ্যাক্ণ্ডমর্থ সাহেব রচিত প্ৰবন্ধবিশেষ হইতে বর্ণিত ঘটনা সংগৃহীত। রণক্ষেত্রে অমাবাই ও বিনায়ক রাও অমাবাই । পিতা ! বিনায়ক রাও । পিতা ! আমি তোর পিতা ! পাপীয়সী। স্বাতন্ত্র্যচারিণী। যবনের গৃহে পশি