পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিনায়ক রাও । রবীন্দ্র-রচনাবলী ছেড়ে দাও । পতিরক্তসিক্ত স্নেহডোরে বেঁধো না আমায় । কন্যা নহেক পিতার । শাখাচু্যত পুষ্প শাখে ফিরে নাকে আর । কিন্তু রে শুধাই তোরে কারে কংস পতি লজ্জাহীনা। কড়ি নিল যে ম্লেচ্ছ দুর্মতি জীবাজির প্রসারিত বরহস্ত হতে বিবাহের রাত্রে তোরে— বঞ্চিয়া কপোতে শুেন যথা লয়ে যায় কপোতবধূরে আপনার স্লেচ্ছ নীড়ে— সে দুষ্ট দস্থ্যরে পতি ক’স তুই – সে রাত্রি কি মনে পড়ে ? বিবাহসভায় সবে উৎসুক-অস্তরে বসে আছি,— শুভলগ্ন হল গতপ্রায়,— জীবাজি আসে না কেন সবাই শুধায়, চায় পথপানে । দেখা দিল হেনকালে মশালের রক্তরশ্মি নিশীথের ভালে, শুনা গেল বাদ্যরব। হর্ষে উচ্ছ্বসিল অন্তঃপুরে হুলুধ্বনি। দুয়ারে পশিল শতেক শিবিকা ; কোথা জীবাজি কোথায় শুধাতে না শুধাতেই ঝটিকার প্রায় অকস্মাং কোলাহলে হতবুদ্ধি করি মুহূর্তের মাঝে তোরে বলে অপহরি কে কোথা মিলালে । ক্ষণপরে নতশিরে জীবাজি বন্ধনমুক্ত এল ধীরে ধীরে— শুনিহ কেমনে তারে বন্দী করি পথে লয়ে তার দীপমালা, চড়ি তার রথে, কাড়ি লয়ে পরি তার বরপরিচ্ছদ বিজাপুর যবনের রাজসভাসদ দস্থ্যবৃত্তি করি গেল। সে দারুণ রাতে হোমাগ্নি করিয়া স্পর্শ জীবাজির সাথে