পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांझिनैौ প্রতিজ্ঞা করিচু আমি— দস্থ্যরক্তপাতে লব এর প্রতিশোধ । বহুদিন পরে হয়েছি সে পণমুক্ত। নিশীথসমরে : জীবাজি ত্যজিয়া প্রাণ বীরের সদগতি লভিয়াছে। রে বিধবা, সেই তোর পতি,— দস্থ্য সে তো ধর্মনাণী । ধিক্ পিতা, ধিক্ । বধেছ পতিরে মোর— আরো মর্মাস্তিক এই মিথ্যা বাক্যশেল। তব ধর্ম-কাছে পতিত হয়েছি, তবু মম ধর্ম আছে সমুজ্জল। পত্নী আমি, নহি সেবাদাসী । বরমাল্যে বরেছিকু তারে ভালোবাসি শ্রদ্ধাভরে ; ধরেছিকু পতির সস্তান গর্তে মোর,— বলে করি নাই আত্মদান । মনে আছে দুই পত্র এক দিন রাতে পেয়েছিছু অন্তঃপুরে গুপ্তদূতী হাতে— তুমি লিখেছিলে শুধু, “হানো তারে ছুরি।” মাতা লিখেছিল, “পত্রে বিষ দিল্প পূরি, করে। তাহা পান।” যদি বলে পরাজিত অসহায় সতীধর্ম কেহ কেড়ে নিত তা হলে কি এতদিন হত না পালন তোমাদের সে আদেশ ? হৃদয় অর্পণ করেছিছু বীরপদে। যবন ব্রাহ্মণ সে ভেদ কাহার ভেদ ? ধর্মের সে নয়। অস্তরের অন্তর্ষামী যেথা জেগে রয় সেথায় সমান দোহে। মাঝে মাঝে তবু সংস্কার উঠিত জাগি ;– কোনো দিন কতু নিগূঢ় স্থণার বেগ শিরায় অধীর হানিত বিদ্যুৎকম্প,-- অবাধ্য শরীর সংকোচে কুঞ্চিত হত – কিন্তু তারো পরে