পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांश्र्निी একটি সে শ্বেতপদ্ম, সম্পূর্ণ আবরি ছিল সে জীবন মোর । অামার হৃদয় ছিল তারি মুখপরে— স্বৰ্ষ যথা রয় ধরণীর পানে চেয়েণ হিমবিন্দুটিরে পদ্মপত্র যত ভয়ে ধরে রাখে শিরে সেইমতো রেখেছিকু তারে । স্বকঠোর ক্ষাত্রধর্ম রাজধর্ম স্নেহপানে মোর চাহিত সরোষ চক্ষে ; দেবী বস্থদ্ধরা অবহেলা-অবমানে হইত কাতরা, রাজলক্ষ্মী হত লজ্জামুখী । সভামাঝে একদা অমাত্যসাথে ছিন্থ রাজকাজে, হেনকালে অন্তঃপুরে শিশুর ক্ৰন্দন পশিল আমার কর্ণে। ত্যজি সিংহাসন দ্রুত ছুটে চলে গেন্থ ফেলি সর্বকাজ । সে মুহূর্তে প্রবেশিক্ষু রাজসভামাঝ আশিস করিতে নৃপে ধান্তদূর্বাকরে আমি রাজপুরোহিত। ব্যগ্রতার ভরে আমারে ঠেলিয়া রাজা গেলেন চলিয়া, অৰ্ঘ পড়ি গেল ভূমে । উঠিল জলিয়া ব্রাহ্মণের অতিমান । ক্ষণকাল-পরে ফিরিয়া আসিলা রাজা লজ্জিত-অন্তরে । আমি শুধালেম তীরে – কহ হে রাজন, কী মহা অনর্ধপাত দুদৈব ঘটন ঘটেছিল, যার লাগি ব্রাহ্মণেরে ঠেলি অন্ধ অবজ্ঞার বশে, রাজকর্ম ফেলি, না শুনি বিচারপ্রার্থী প্রজাদের যত আবেদন, পররাষ্ট্র হতে সমাগত রাজদূতগণে নাহি করি সম্ভাষণ, সামস্ত রাজন্তগণে না দিয়া আসন,