পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণী । ক্ষীরো । কল্যাণী । ক্ষীরো । কল্যাণী । ক্ষীরো । কল্যাণী । ক্ষীরো। कांश्मॆिी মরেও নি বটে, জন্মে নি কন্তু । এমন বুদ্ধি দিদি, তোর, তৰু সে বুদ্ধিখানি কেবলি খেলায় অনুগত এই আমারি বেলায় ? চেয়ে নিতে তোর মুখে ফোটে কাটা ! না বললে নয় মিথ্যে কথাটা ? ধরা পড় তবু হও না জব্দ ? ‘দাও দাও’ ও তো একটা শবদ, ওটা কি নিত্যি শোনায় মিষ্টি ? মাঝে মাঝে তাই নতুন স্থষ্টি করতেই হয় খুড়ি-জোঠমার । জান তো সকলি তবে কেন আর লজ্জা দেওয়া ? অমনি চেয়ে কি পাস নি কখনো তাই বল দেখি ? মরা পাথিরেও শিকার ক’রে তবে তো বিড়াল মুখেতে পোরে। সহজেই পাই, তবু দিয়ে ফাকি স্বভাবটাকে যে শান দিয়ে রাখি । বিনা প্রয়োজনে খাটাও যাকে প্রয়োজনকালে ঠিক সে থাকে । সত্যি বলছি মিথ্যে কথায় তোমারো কাছেতে ফল পাওয়া যায় । এবার পাবে না । আচ্ছা, বেশ তো, সেজন্তে আমি নইকো ব্যস্ত । অাজ না হয় তো কাল তো হবে, ততখন মোর সবুর সবে। গ৷ দুয়ে কিন্তু বলছি তোমার খুড়িটার কথা তুলব না জার। কল্যাণীর হাসিয়া প্রস্থান ১২৯