পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cनौकाछूचेि 8 شاه ... অন্নদাবাবু কহিলেন, “হেমের সঙ্গে নলিনাক্ষের বিবাহ স্থির হইয়া গেছে। কাল নলিনাক্ষের মা হেমকে আশীর্বাদ করিয়া দেখিয়া গেছেন।” যোগেন্দ্র। বল কী বাবা, বিবাহ একেবারে পাকাপাকি স্থির হইয়া গেছে ? আমাকে একবার জিজ্ঞাসা করিতেও নাই ? i অন্নদাবাবু যোগেন্দ্র, তুমি কখন কী বল তার কিছুই স্থির নাই। আমি যখন নলিনাক্ষকে জানিতামও না তখন তোমরাই তো এই বিবাহের জন্ত উদযোগী ছিলে । | যোগেন্দ্র । তখন তো ছিলাম, কিন্তু তা যাই হোক, এখনো সময় যায় নাই । ঢের কথা বলিবার আছে । আগে সেইগুলো শোনো, তার পরে যা কর্তব্য হয় করিয়ো । 帶 অন্নদাবাৰু কহিলেন, “সময়মত এক দিন শুনিব, কিন্তু আজ আমার তো অবকাশ নাই। এখনি আমাকে বাহির হইতে হইবে।” যোগেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাইবে ?” অন্নদাবাবু কহিলেন, "নলিনাক্ষের মার ওখানে আমার আর হেমের নিমন্ত্রণ আছে । যোগেন্দ্ৰ, তোমার তা হইলে এখানেই আহারের—” যোগেন্দ্ৰ কহিল, “না না। আমার জন্যে ব্যস্ত হবার দরকার নাই। আমি রমেশকে সঙ্গে লইয়া এখানকার কোনো হোটেলে খাওয়াদাওয়া করিয়া লইব । সন্ধ্যার মধ্যে তোমরা ফিরিবে তো ? তখনি আমরা আসিব ।” অন্নদাবাবু কোনোমতেই রমেশের প্রতি কোনোপ্রকার শিষ্টসম্ভাষণ করিতে পারিলেন না। তাহার মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করাও তাহার পক্ষে দুঃসাধ্য হইয়া উঠিল। রমেশও এতক্ষণ নীরবে থাকিয়, যাইবার সময় অন্নদীবাবুকে নমস্কার করিয়া চলিয়া গেল । @ዊ ক্ষেমংকরী কমলাকে গিয়া কহিলেন, “মা, কাল হেমকে আর তার বাপকে দুপুরবেলায় এখানে আহার করিতে নিমন্ত্রণ করা গেছে। কী রকম আয়োজনটা করা যায় বলে দেথি । বেয়াইকে এমন করিয়া খাওয়ামো দরকার যে, তিনি যেন নিশ্চিম্ভ হইতে পারেন যে এখানে তাহার মেয়েটির খাওয়ার কষ্ট হুইবে না। কী বল মা ? তা, তোমার যেরকম রান্নার হাত, অপৰশ হইবে না, তা জানি। আমার ছেলে