পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰিচিত্র প্রবন্ধ HNළු . আছে । তাহাতে কবি ও গুনীর প্রতিভার চেয়ে ধনীর মূলধন ঢের বেশি থাকা চাই। দর্শক যদি বিলাতি ছেলেমাঞ্চুধিতে দীক্ষিত না হইয়া থাকে এবং অভিনেতার যদি নিজের প্রতি ও কাব্যের প্রতি ঘখা বিশ্বাস থাকে, তবে অভিনয়ের চারি দিক হইতে তাহর বহুমূল্য বাজে জালগুলো বাট দিয়া ফেলিয়া তাঁহাকে মুক্তিদানও গৌরবদান করিলেই সহৃদয় হিন্দুসস্তানের মতো কাজ হয়। বাগানকে যে অবিকল, বাগণে আঁকিয়াই শাড়া করিতে হইবে এবং স্ত্রীচরিত্র আকৃত্রিম স্ত্রীলোককে দিয়াই অভিনয় করাইতে হুইবে, এইরূপ অত্যন্ত স্কুল বিলাতি বর্বরতা পরিহার করিবার সময় আসিয়াছে। . . . W. * ষোটের উপরে বলা যাইতে পারে যে, জটিলতা অক্ষমতারই পরিচয় -বান্তবিকত । কাচপোকার মতো আর্টের মধ্যে প্রবেশ করিলে তেলাপোকার মতে তাহার জন্তরের সমস্ত রস নিঃশেষ করিয়া ফেলে, এবং যেখানে অজীর্ণবশত যথার্থ রসের ক্ষুধার অভাব । সেখানে বহুমূল্য বাহ প্রাচুর্য ক্রমশই তীক্ষণরূপে বাড়িয়া চলে— অবশেষে অল্পকে । সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন করিয়া চাটনিই স্ত,পাকার হইয় উঠে। । قا د ۰ه د crhs r k | ..I o হঠাৎ গৃহপালিত ময়ূরের ডাক শুনিয়া আমার বন্ধু বলিয়া উঠিলেন— আমি ওই ময়ূরের ডাক সহ করিতে পারি না ; কবির কেকারবকে কেন ষে উtহাদের কাব্যে স্থান দিয়াছেন বুঝিবার জো নাই। . কবি যখন বসন্তের কুহুস্বর এবং বর্ষার কেক, দুটাকেই সমান আদর দিয়াছেন তখন হঠাৎ মনে হইতে পারে কবির বুঝি বা কৈবল্যদশাগ্রাপ্তি হইয়াছে— তাহার কাছে ভালো ও মন্দ, ললিত ও কর্কশের ভেদ লুপ্ত। * কেবল কেক কেন, ব্যাঙের ডাক এবং ঝিল্লীর ঝংকারকে কেহ মধুর বলিতে পারে” না। অথচ কবিরা এ শৰগুলিকে উপেক্ষ কক্ষ নাই। প্রেরণীর কণ্ঠস্বরের সহিত ইহানের তুলনা করিতে সাহস পান নাই, কিন্তু বড় ধতুর মহাসংগীতের প্রধান অঙ্গ বলিয় তাহারা ইহাদিগকে সন্মান দিয়াছেন । ... . . 1 *, o '. * , , * $2. এক প্রকারের মিষ্টতা আছে তাহ নি:সংশয় মিষ্ট, নিতান্তই মিষ্ট। তাছা নির্দুের ' &\be