ब्रवैौटा-ग्नछनॉयलौ و ه 6 কথা ভারতবর্ষের কাছে কোনো অংশে অতিমাত্র হয় নাই। এই রামায়ণকথা হইতে ভারতবর্ষের আবালবৃদ্ধবনিত, আপামর সাধারণ কেবল যে শিক্ষাপাইয়াছে তাহা নহে, আনন্দ পাইয়াছে ; কেবল ষে ইহাকে শিরোধীর্ষ করিয়াছে তাহা নহে, ইহাকে হৃদয়ের মধ্যে রাখিয়াছে ; ইহা যে কেবল তাহাজের ধর্মশাস্ত্র তাহা নহে, ইহা তাহাদের কাব্য । রাম ষে একই কালে আমাদের কাছে দেবতা এবং মাকুয, রামায়ণ ষে একই কালে আমাদের কাছে ভক্তি এবং প্রীতি পাইয়াছে, ইহা কখনোই সম্ভব হইত না যদি এই মহাগ্রন্থের কবিত্ব ভারতবর্ষের পক্ষে কেবল স্থদুর কল্পলোকেরই সামগ্ৰী হইত, যদি তাহা আমাদের সংসারসীমার মধ্যেও ধরা না দিত । এমন গ্রন্থকে যদি অন্তদেশী সমালোচক তাহীদের কাব্যবিচারের আদর্শ -অতুসারে অপ্রাকৃত বলেন তবে তাহাদের দেশের সহিত তুলনায় ভারতবর্ষের একটি বিশেষত্ব আরও পরিস্ফুট হইয়া উঠে। রামায়ণে ভারতবর্ষ বাহ চায় তাহ পাইয়াছে। রামায়ণ, এবং মহাভারতকেও, আমি বিশেষত এই ভাবে দেখি । ইহার সরল অল্পষ্টপ ছন্দে ভারতবর্ষের সহস্রবৎসরের হৃৎপিও স্পদিত হইয়া আসিয়াছে। স্বহৃদবর ঐযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় যখন র্তাহার এই রামায়ণচরিত্র-সমালোচনার একটি ভূমিকা লিখিয়া দিতে আমাকে অনুরোধ করেন তখন আমার অস্বাস্থ্য ও অনবকাশ সত্ত্বেও তাহার কথা আমি অমান্য করিতে পারি নাই । কবিকথাকে ভক্তের ভাষায় আবৃত্তি করিয়া তিনি আপন ভক্তির চরিতার্থতা সাধন করিয়াছেন। এইরূপ পূজার আবেগ-মিশ্রিত ব্যাখ্যাই আমার মতে প্রকৃত সমালোচনা ; এই উপায়েই এক হৃদয়ের ভক্তি আর-এক হৃদয়ে সঞ্চারিত হয়। অথবা যেখানে পাঠকের হৃদয়েও ভক্তি আছে সেখানে পূজাকারকের ভক্তির হিরোল তরঙ্গ জাগাইয়া তোলে। আমাদের আজিকালকার সমালোচনা বাজার-জর বাচাই করা, কারণ সাহিত্য এখন হাটের জিনিস। পাছে ঠকিতে হয় বলিয়া চতুর যাচনারের আশ্রয় গ্রহণ করিতে সকলে উৎসুক। এরূপ যাচাই র্যাপারের উপযোগিতা অবস্ত আছে, কিন্তু তবু বলিব, যথার্থ সমালোচনা পূজা, সমালোচক পূজারি পুরোহিত, তিনি নিজের অথবা সর্বসাধারণের ভক্তিবিগলিত বিস্ময়কে ব্যক্ত করেন মাত্র। * ভক্ত দীনেশচন্ত্র সেই পূজামন্দিরের প্রাক্ষণে দাড়াইয়া আরতি আরম্ভ করিয়াছেন। আমাকে হঠাৎ তিনি ঘণ্টা নাড়িবার ভার ছিলেন। এক পার্থে দাড়াইয়া আমি সেই কার্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছি। আমি অধিক জাড়ম্বর করিয়া তাহার পূজা আচ্ছন্ন করিতে কুষ্টিত। আমি কেবল এই কথাটুকু মাত্র জানাইতে চাহি যে, বাল্মীকির রামচরিত
