পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i; «धनंछैौन जांहिष्ठा & eo কথাকে পাঠকগণ কেবলমাত্র কবির কাব্য বলিয়া দেখিবেন না, তাহাকে ভারতবর্ষের রামায়ণ বলিয়া জানিবেন। তাহা হইলে রামায়ণের দ্বারা ভারতবর্ধকে ও ভারতবর্ষের দ্বারা রামায়ণকে যথার্থভাবে বুঝিতে পরিবেন। ইহা স্মরণ রাখিবেন যে, কোনো ঐতিহাসিক গৌরবকাহিনী নহে, পরন্তু পরিপূর্ণ মানবের আদর্শ চরিত ভারতবর্ষ শুনিতে छांश्ब्रिांझिल ७ष९ चांज नईख डांश अथांख चांमामब्र नश्ठि समिब्रां चांनिष्ठ८छ् । এ কথা বলে নাই যে, বড়ো বাড়াবাড়ি হইতেছে ; এ কথা বলে নাই যে, এ কেবল কাব্যকথা মাত্র। ভারতবাসীর ঘরের লোক এত সত্য নহে, রাম লক্ষ্মণ সীতা তাহার পক্ষে যত সত্য । 帶 পরিপূর্ণতার প্রতি ভারতবর্ষের একটি প্রাণের আকাঙ্ক্ষা আছে। ইহাকে সে বাস্তবসত্যের অতীত বলিয়া অবজ্ঞা করে নাই, অবিশ্বাস করে নাই। ইহাকেই সে যথার্থ সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়াছে এবং ইহাতেই সে আনন্দ পাইয়াছে। সেই পরিপূর্ণতার আকাঙ্ক্ষাকেই উদবোধিত ও তৃপ্ত করিয়া রামায়ণের কবি ভারতবর্ষের ভক্তহৃদয়কে চিরদিনের জন্ত কিনিয়া রাখিয়াছেন। ষে জাতি খণ্ডসত্যকে প্রাধান্ত দেন, যাহারা বাস্তবসত্যের অমুসরণে ক্লাস্তি বোধ করেন না, কাব্যকে যাহারা প্রকৃতির দর্পণমাত্র বলেন, র্তাহারা জগতে অনেক কাজ করিতেছেন ; তাহারা বিশেষভাবে ধন্ত হইয়াছেন ; মানবজাতি র্তাহাদের কাছে ঋণী। অন্ত দিকে, র্যাহারা বলিয়াছেন ভূমৈব স্থখং ভূমীত্বেব বিজিজ্ঞাসিতব্যঃ’, যাহারা পরিপূর্ণ পরিণামের মধ্যে সমস্ত খণ্ডতার স্বযম— সমস্ত বিরোধের শাস্তি— উপলব্ধি করিবার জন্য সাধন করিয়াছেন, তাহদেরও ঋণ কোনো কালে পরিশোধ হইবার নহে। র্তাহীদের পরিচয় বিলুপ্ত হইলে, তাহদের উপদেশ বিশ্বত হইলে, মানবসভ্যতা আপন ধূলিধূমসমাকীর্ণ কারখানাঘরের জনতা-মধ্যে নিশ্বাসকলুষিত বন্ধ আকাশে পলে পলে পীড়িত হইয়া, কুশ হইয়া মরিতে থাকিবে । রামায়ণ সেই অখণ্ড-অমৃত-পিপাস্থদেরই চিরপরিচয় বহন করিতেছে। ইহাতে যে সৌভ্রাত্র, যে সত্যপরতা, ষে পাতিব্ৰত্য, ষে প্রভূতক্তি বর্ণিত হইয়াছে তাহার প্রতি যদি সরল শ্রদ্ধা ও অন্তরের ভক্তি রক্ষা করিতে পারি তবে আমাদের কারখানাঘরের বাতান মধ্যে মহাসমূত্রের নির্মল বাৰু প্রবেশের