পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

《) ब्रवैौठा-ब्रध्नावलौ দুষ্মন্ত-শকুন্তলার প্রথম মিলন সম্পূর্ণতালাভের জন্য এই দ্বিতীয় মিলনের একাত্ত আকাঙ্গ রাখে। শকুন্তলার এত দুঃখকে নিফল করিয়া শূন্তে স্থলাইয়া রাখা যায় না । যজ্ঞের আয়োজনে যদি কেবল অগ্নিই জলে, কিন্তু তাহাতে আপোক না হয়, তবে নিমন্ত্রিতদের কী দশা ঘটে ? শকুন্তলার শেষ অঙ্ক, নাটকের বাহরীতি-অতুলারে নহে, তদপেক্ষা গভীরতর নিয়মের প্রবর্তনায় উদ্ভূত হইয়াছে। দেখা গেল, কুমারসম্ভব এবং শকুন্তলায় কাব্যের বিষয় একই। উভয় কাব্যেই কবি দেখাইয়াছেন, মোহে বাহ অকৃতাৰ্থ মঙ্গলে তাহা পরিসমাপ্ত ; দেখাইয়াছেন, ধর্ম ষে সৌন্দর্যকে ধারণ করিয়া রাখে তাহাই ধ্রুব এবং প্রেমের শান্তসংযত কল্যাণরূপই শ্ৰেষ্ঠ রূপ ; বন্ধনেই যথার্থ ঐ এবং উচ্ছ স্বলতায় সৌন্দর্ষের আশু বিকৃতি। ভারতবর্ষের পুরাতন কবি প্রেমকেই প্রেমের চরম গৌরব বলিয়া স্বীকার করেন নাই, মদলকেই প্রেমের পরম লক্ষ্য বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন । র্তাহার মতে নরনারীর প্রেম স্বন্দর নহে, স্থায়ী নহে, যদি তাহ বন্ধ্য হয়, যদি তাহা আপনার মধ্যেই সংকীর্ণ হইয়া থাকে, কল্যাণকে জন্মদান না করে এবং সংসারে পুত্রকন্যা-অতিথিপ্রতিবেশীর মধ্যে বিচিত্রসৌভাগ্যরূপে ব্যাপ্ত হইয়া না যায়। এক দিকে গৃহধর্মের কল্যাণবন্ধন, অন্ত দিকে নির্লিপ্ত আত্মার বন্ধনমোচন, এই দুইই ভারতবর্ষের বিশেষ ভাব সংসারমধ্যে ভারতবর্ষ বহু লোকের সহিত বহু সদ্ধে জড়িত, কাহাকেও সে পরিত্যাগ করিতে পারে না ; তপস্যার জাসনে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ একাকী। দুইয়ের মধ্যে যে সমন্বয়ের অভাব নাই, দুইয়ের মধ্যে যাতায়াতের পথ— আদানপ্রদানের সম্পর্ক আছে, কালিদাস তাহার শকুন্তলায় কুমারসম্ভবে তাহ দেখাইয়াছেন। তাহার তপোবনে যেমন সিংহশাবকে-নরশিশুতে খেলা করিতেছে তেমনি তাহার কাব্যতপোবনে যোগীর ভাব, গৃহীর ভাব বিজড়িত হইয়াছে। মদন সম্বন্ধ পুনর্বার স্থাপন করিয়াছেন। ঋষির আশ্রমভিত্তিতে তিনি গৃহের পত্তন তপঃপূত নিৰ্মল ৰোগালনের উপরে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। ভারতবীয় সংহিতার নরনারীর সংযত সম্বন্ধ কঠিন অঙ্কুশাসনের আকারে আদিষ্ট, কালিদাসের কাব্যে তাঁহাই সৌধের উপকরণে গঠিত। সেই সৌন্দৰ্য ঐ স্ত্রী এবং কল্যাণে উতোসমান ; জহ