পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&e• ब्रबौठ-ब्रक्रमांबलौ নাই ; তিনি তাহার আভাস দিয়াছেন এবং দিয়া তাহার উপরে একটি আচ্ছাদন টানিয়াছেন। সংসারে এরূপ স্থলে যাহা স্বভাবত হইতে পারিত তাহাকে তিনি দুর্বাসার শাপের দ্বারা ঘটাইয়াছেন। নতুবা তাহ এমন একান্তনিষ্ঠুর ও ক্ষোভজনক হইত যে, তাহাতে সমস্ত নাটকের শাস্তি ও সামঞ্জস্ত ভঙ্গ হইয়া স্বাইত। শকুন্তলায় কালিদাস যে রসের প্রতি লক্ষ করিয়াছেন এরূপ অত্যুংকট আন্দোলনে তাহ রক্ষা পাইত না । দুঃখবেদনাকে তিনি সমানই রাখিয়াছেন, কেবল বীতংস কদৰ্যতাকে কবি আবৃত করিয়াছেন। কিন্তু কালিদাস সেই আবরণের মধ্যে এতটুকু ছিত্র রাখিয়াছেন সাহাতে পাপের আভাস পাওয়া যায়। সেই কথার উত্থাপন করি । পঞ্চম অঙ্কে শকুন্তলার প্রত্যাখ্যান । সেই অঙ্কের আরম্ভেই কবি রাজার প্রণয়রঙ্গভূমির যবনিকা ক্ষণকালের জন্য একটুখানি সরাইয়া দেখাইয়াছেন। রাজপ্রেস্থলী হংসপঞ্জিকা নেপথ্যে সংগীতশালায় আপন-মনে বসিয়া গান গাহিতেছেন – নবমধুলোভী ওগো মধুকর, চুতমঞ্জরী চুমি', কমলনিবাসে ষে প্রীতি পেয়েছ কেমনে ভুলিলে তুমি ? রাজাস্তঃপুর হইতে ব্যথিত হৃদয়ের এই অশ্রুসিক্ত গান আমাদিগকে বড়ে আঘাত করে। বিশেষ আঘাত করে এইজন্য যে, তাহার পূর্বেই শকুন্তলার সহিত দুষ্মস্তের প্রেমলীলা আমাদের চিত্ত অধিকার করিয়া আছে । ইহার পূর্ব অঙ্কেই শকুন্তলা ঋষিবৃদ্ধ কর্থের আশীর্বাদ ও সমস্ত অরণ্যানীর মঙ্গলাচরণ গ্রহণ করিয়া বড়ো জিপ্তকরুণ, বড়ো পবিত্রমধুর ভাবে পতিগৃহে স্বাত্রা করিয়াছে। তাহার জন্য যে প্রেমের, ৰে গৃহের চিত্র আমাদের আশাপটে অঙ্কিত হইয়া উঠে, পরবর্তী অঙ্কের আরম্ভেই সে চিত্রে দাগ পড়িয়া যায় । n বিদূষক যখন জিজ্ঞাসা করিল এই গানটির অক্ষরার্থ বুঝিলে কি রাজা ঈষৎ হাসিয়া উত্তর করিলেন, সঙ্কংকৃতপ্রণয়োহয়ং জন । আমরা একবার মাত্র প্রণয় করিয়া তাহার পরে ছাড়িয়া দিই, সেইজন্ত দেবী ৰক্ষমতীকে লইয়া আমি ইহা স্বয়ং ভৎসনের যোগ্য হইয়াছি। সখে মাধব্য, তুমি আমার নাম করিয়া হংসপঞ্জিকাকে বলে, বড়ো নিপুণভাবে তুমি আমাকে তৎসম করিয়াছ । ... दां७, gश्च পঞ্চম অঙ্কের প্রারম্ভে রাজার চপল প্রণয়ের এই পরিচয় নিরর্থক নহে। ইহাতে