পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ, রবীন্দ্র-রচনাবলী সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার। যার তরে প্রাণ কোনো ব্যথা নাহি পায় তারে দণ্ডদান প্রবলের অত্যাচার। ষে দণ্ডবেদনা পুত্রেরে পার না দিতে সে কারে দিয়ে না ; যে তোমার পুত্র নহে তারো পিতা আছে, মহা-অপরাধী হবে তুমি তার কাছে বিচারক । শুনিয়াছি, বিশ্ববিধাতার সবাই সস্তান মোরা – পুত্রের বিচার নিয়ত করেন তিনি আপনার হাতে নারায়ণ ; ব্যথা দেন, ব্যথা পান সাথে— নতুবা বিচারে তার নাই অধিকার, মূঢ় নারী লভিয়াছি অন্তরে আমার এই শাস্ত্র। পাপী পুত্রে ক্ষমা কর যদি নির্বিচারে, মহারাজ, তবে নিরবধি যত দণ্ড দিলে তুমি যত দোষী জনে ধর্মাধিপ নামে, কর্তব্যের প্রবর্তনে, ফিরিয়া লাগিবে আসি দণ্ডদাতা ভূপে ; ন্যায়ের বিচার তব নির্মমতারূপে পাপ হয়ে তোমারে দাগিবে । ত্যাগ করো পাপী দুৰ্যোধনে । প্রিয়ে, সংহর, সংহর তব বাণী । ছিড়িতে পারি নে মোহডোর, ধৰ্মকথা শুধু আসি হানে স্বকঠোর ব্যৰ্থ ব্যথা। পাপী পুত্র ত্যাজ্য বিধাতার, তাই তারে ত্যজিতে না পারি— আমি তার একমাত্র ; উন্মত্ত-তরঙ্গ-মাঝখানে যে পুত্র সাপেছে অঙ্গ তারে কোন প্ৰাণে ছাড়ি যাব ? উদ্ধারের আশা ত্যাগ করি, তবু তারে প্রাণপণে বক্ষে চাপি ধরি, তারি সাথে এক পাপে ঝাপ দিয়া পড়ি,