পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ তোমার আকাঙক্ষাদীপ্ত অতৃপ্ত আঁখিতে যে দৃষ্টি হানিয়াছিল একটি নিমেষে, সে কি রাখ নাই গেথে অক্ষয় সংগীতে । সে কি গেছে পুস্পচ্যুত সৌরভের দেশে । [Cऊार्छ >७०१] V ওরে পদ্মা, ওরে মোর রাক্ষসী প্ৰেয়সী, লুব্ধ বাহু বাড়াইয়া উচ্ছসি উল্লাসি আমারে কি পেতে চাস চির আলিঙ্গনে । শুধু এক মুহুর্তের উন্মত্ত মিলনে আমার বক্ষের যত সুখ দুঃখ ভয় ? আমিও তো কতদিন ভাবিয়াছি মনে বসি তোর তটোপান্তে প্ৰশান্ত নির্জনে, বাহিরে চঞ্চলা তুই প্ৰমত্তমুখরা, শানিত অসির মতো ভীষণ প্রখরা, অন্তরে নিভৃত স্নিগ্ধ শান্ত সুগভীর— দীপহীন রুদ্ধদ্বার অর্ধরজনীর বাসরঘরের মতো নিষ্ণুপ্ত নির্জনসেথা। কার তরে পাতা সুচির শয়ন । [ চৈত্র-বৈশাখ ১৩০৮-১৩০৯] Գ হে প্ৰভু, প্রত্যহ মোরে দিয়েছ প্রশ্ৰয় । ফিরেছি আপন-মনে আলসে লালসে বিলাসে আবেশে ভেসে প্রবৃত্তির বশে নানা পথে, নানা ব্যর্থ কাজে- তুমি তবু তখনো যে সাথে সাথে ছিলে মোরা প্ৰভু, আজ তাহা জানি । যে অলস চিন্তা-লতা তোমার চিস্তার ফুল আপনি ফুটালে নিগুঢ় শিকড়ে তার বিন্দু বিন্দু সুধা গোপনে সিঞ্চন করি । দিয়ে তৃষ্ণা-মুকুধা, দিয়ে দণ্ড-পুরস্কার সুখ-দুঃখ-ভয় নিয়ত টানিয়া কাছে দিয়েছ। প্রশ্ৰয় । [২৩ ফায়ুন ১৩০৭] S