झदीक्-ब्रानाबी 98ܓ রামচন্দ্র । আরে তোর প্রাণ নিয়ে আমার কী হবে ? এখন পালাবার উপায় কী ? রামমোহন। মহারাজ, তুমি যদি ভয় না কর, আমি এক কাজ করতে পারি। রামচন্দ্র। কী বল। রামমোহন । তোমাকে পিঠে করে নিয়ে রাজবাটীর ছাতের উপর থেকে আমি খালের মধ্যে লাফিয়ে পড়তে পারি। - বসন্ত রায় । কী সর্বনাশ ; সে কি হয় ! রামচন্দ্র । না, সে হবে না। আর-একটা সহজ উপায় কিছু বল। রামমোহন । যুবরাজ, আমাকে গোটাকতক মোটা চাদর এনে দাও- পাকিয়ে শক্ত করে দক্ষিণের দরজার সঙ্গে বেঁধে নীচে ঝুলিয়ে দিই। উদয়াদিত্য । ঠিক বলেছিস রামমোহন । বিপদের সময় সব চেয়ে সহজ কথাটাই মাথায় আসে না । চল চল । বিভা । মোহন, কোনো ভয় নেই তো ? রামমোহন । কোনো ভয় নেই মা ! আমি দড়ি বেয়ে স্বচ্ছন্দে নামিয়ে নিয়ে যাব। জয় মা কালী ! ኪr অন্তঃপুর মহিষী৷ মহিষী। কী হল বুঝতে পারছি নে তো। সকলকেই খাওয়ালুম। কিন্তু মোহনকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি নে কেন ? বামী ! বামীর প্রবেশ এদিককার খাওয়াদাওয়া তো সব শেষ হল— মোহনকে খুঁজে পাচ্ছি নে কেন ? বামী । মা, তুমি অত ভাবিছ কেন ? তুমি শুতে যাও, রাত যে পুইয়ে এল, তোমার শরীরে সইবে (का ? মহিষী । সে কি হয় ! আমি যে তোকে নিজে বসিয়ে খাওয়াব বলে রেখেছি। বামী । সে নিশ্চয় রাজকুমারীর মহলে গেছে, তিনি তাকে খাইয়েছেন । তুমি চলো, শুতে চলো । মহিষী। আমি তো ও মহলে খোজ করতে যাচ্ছিলুম, দেখি সব দরজা বন্ধ- এর মানে কী, কিছু তো বুঝতে পারছি নে। বামী। বাড়িতে গোলমাল দেখে রাজকুমারী তার মহলের দরজা বন্ধ করেছেন। অনেক দিন পরে জামাই এসেছেন, আজ লোকজনের ভিড় সইবে কেন ? চলো, তুমি শুতে চলো । মহিষী। কী জানি বামী, আজ ভালো লাগছে না। প্রহরীদের ডাকতে বললুম, তাদের কারও কোনো সাড়াই পাওয়া গেল না । মহিষী ৷ মহারাজ জানতে পারলে যে তাদের আমোদ বেরিয়ে যাবে। উদায়ের মহলও যে বন্ধ, তারা ঘুমিয়েছে বুঝি ! বামী । ঘুমোবেন না ! বল কী ! রাত কম হয়েছে ? মহিষী । গানবাজনা ছিল, জামাইকে নিয়ে একটু আমোদ-আহ্বাদ করবে না ! ওরা মনে কী ভাববে বল তো ? এ সমস্তই ঐ বউমার কাণ্ড । একটু বিবেচনা নেই। রোজই তো ঘুমোচ্ছে- একটা দিন কি VSS বামী। মা, সে-সব কথা কাল হবে।— আজ চলো। ”
