दूछों Sዒ¢ প্ৰথম । শোনো একবার, কথা শোনো । বলে, সবই এক রাস্তা। তাই যদি হবে। তবে এতগুলোর प्रद्धकाद्ध छिल की ? দ্বিতীয় । তা ভাই, রাগ করিস কেন । যে দেশের যেমন ব্যবস্থা ! আমাদের দেশে তো রাস্তা নেই বললেই হয়- বাকাচোরা গলি, সে তো গোলকধাদা । আমাদের রাজা বলে, খোলা রাস্তা না থাকাই ভালো ; রাস্তা পেলেই প্ৰজারা বেরিয়ে চলে যাবে। এ দেশে উলটাে, যেতেও কেউ ঠেকায় না, । আসতেও কেউ মানা করে না- তবু মানুষও তো ঢের দেখছি- এমন খোলা পেলে আমাদের রাজ্য । উজাড় হয়ে যেত ! প্ৰথম । ওহে জনাৰ্দন, তোমার ঐ একটা বড়ো দোষ । জনাৰ্দন । কী দোষ দেখলে । প্রথম। নিজের দেশের তুমি বড়ো নিন্দে কর । খোলা রাস্তাটাই বুঝি ভালো হল ? বলে তো ভাই কৌণ্ডিল্য, খোলা রাস্তাটাকে বলে কিনা ভালো । কৌণ্ডিল্য। ভাই ভবদত্ত, বরাবরই তো দেখে আসছ জনর্দিনের ঐ একরকম তেড়া বুদ্ধি। কোন দিন বিপদে পড়বেন- রাজার কানে যদি যায় তা হলে মলে ওঁকে শ্মশানে ফেলবার লোক খুঁজে °८ । । ভবদত্ত। আমাদের তো ভাই এই খোলা রাস্তার দেশে এসে অবধি খেয়ে-শুয়ে সুখ নেইদিনরাত গা-ঘিনীঘিন করছে। কে আসছে কে যাচ্ছে তার কোনো ঠিক-ঠিকানাই নেই- রাম রাম । কৌণ্ডিল্য । সেও তো ঐ জনর্দিনের পরামর্শ শুনেই এসেছি। আমাদের গুষ্টিতে এমন কখনো হয় নি। আমার বাবাকে তো জান- কতবড়ো মহাত্মালোক ছিল- শাস্ত্ৰমতে ঠিক উনপঞ্চাশ হাত মেপে গণ্ডি কেটে তার মধ্যেই সমস্ত জীবনটা কাটিয়ে দিলে- একদিনের জন্যে তার বাইরে পা ফেলে নি । মৃত্যুর পর কথা উঠল, ঐ উনপঞ্চাশ হাতের মধ্যেই তো দাহ করতে হয়। সে এক বিষম মুশকিল। শেষকালে শাস্ত্রী বিধান দিলে যে, উনপঞ্চাশে যে দুটাে অঙ্ক আছে তার বাইরে যাবার জো নেই, অতএব ঐ চার নয় উনপঞ্চাশকে উলটে নিয়ে নয়-চার চুরানব্বই করে দাও । তবেই তো তাকে বাড়ির বাইরে পােড়াতে পারি, নইলে ঘরেই দাহ করতে হত। বাবা, এত আঁটা আঁটি ! এ কি যে-সে দেশ পেয়েছ ! ভবদত্ত । বটেই তো, মরতে গেলেও ভাবতে হবে, এ কি কম কথা ! কৌণ্ডিল্য । সেই দেশের মাটিতে শরীর, তবু জনাৰ্দন বলে কিনা খোলা রাস্তাই ভালো । [সকলের প্রস্থান বালকগণকে লইয়া ঠাকুরদার প্রবেশ ঠাকুরদা। ওরে, দক্ষিনে হাওয়ার সঙ্গে সমান পাল্লা দিতে হবে, হার মানলে চলবে না— আজি সব রাস্তাই গানে ভাসিয়ে দিয়ে চলব। 5R আজি দখিনদুয়ার খোলা এসো হে, এসে হে, গ্রুসো হে আমার বসন্ত এসে । দিব হৃদয়দোলায় দোলা, , - এসে হে, এসে হে, এসে হে, আমার दनg ५66 | নব শ্যামল শোভন রথে এসো বকুলবিছানো পথে,
