(शीशों 86 (፩ প্ৰকাণ্ড নিঃশব্দ ছায়ার ভিতর দিয়ে ধ্বনিত হল। পিসির গা ছম ছম করে উঠল। কালু যখন এল, বিপ্রদাস তার হাতে একখানা চিঠি দিলে। বিলেতের চিঠি, সুবোধের লেখা । সুবোধ লিখেছে, বারের ডিনার শেষ না করেই যদি সে দেশে আসে তা হলে আবার তাকে ফিরে যেতে হবে । তার চেয়ে শেষ-ডিনার সেরে মাঘ-ফাল্লুন নাগাত দেশে ফিরে এলে তার সুবিধে হয়, অনৰ্থক খরচের আশঙ্কাও বেঁচে যায়। তার বিশ্বাস বিষয়কর্মের প্রয়োজন ততদিন সবুর করতে পারে। আজকের দিনে বিষয়কর্মের সংকট নিয়ে বিপ্রদাসকে পীড়া দিতে কালুর একটুও ইচ্ছে ছিল না। কালু বললে, “দাদা, এখনো তো টাকা তুলে নেবার কোনো কথা ওঠে নি, আর কিছুদিন যদি সাবধানে চলি, কাউকে না ঘটাই, তা হলে শীঘ্ৰ কোনো উৎপাত ঘটবে না। যাই হােক, তুমি কোনো ভাবনা (सशों की |” বিপ্রদাস বললে, “আমার কোনাে ভাবনা নেই কালু। লেশমাত্র না।” বিপ্রদাসের ভাবনা কালুর ভালো লাগে না- এত অত্যন্ত নিৰ্ভাবনা তার আরো খারাপ লাগে । বিপ্রদাস খবরের কাগজ তুলে নিয়ে পড়তে লাগল, কালু বুঝলে এ সম্বন্ধে কোনো আলোচনা করতে বিপ্রদাসের একটুও ইচ্ছা নেই। অন্যদিন কাজের কথা শেষ হলেই কালু চলে যায়, আজ সে চুপ করে বসে রইল, ইচ্ছা করতে লািগল অন্য কিছু কথা বলে, যা হয় কোনো একটা সেবায় লেগে যায়। জিজ্ঞাসা করলে, “বাইরের দিকে ঐ জানলাটা বন্ধ করে দেব কি ? রোদুর আসছে।” বিপ্ৰদাস হাত নেড়ে জানালে যে, দরকার নেই। কালু তবু রইল বসে। দাদার ঘরে আজ কুমু নেই, এ শূন্যতা তার বুকে চেপে রইল। হঠাৎ শুনতে পেলে বিছানার নীচে টিম কুকুরটা গুমরে গুমরে কেঁদে উঠল। কুমুকে সে চলে যেতে দেখেছে, কী একটা বুঝেছে, ভালো করে বোঝাতে পারছে না।
