পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধুনিক সাহিত্য G8 চমকি বিহবলা বালা চাহিলেন ফিরে হেরিলেন রক্তমাখা মৃত ক্ৰৌঞ্চ ভগ্নপাখা, কঁদিয়ে কঁদিয়ে ক্ৰৌঞ্চী ওড়ে ঘিরে ঘিরে । একবার সে ক্ৰৌঞ্চীরে আরবার বাল্মীকিরে নেহারেন ফিরে ফিরে, যেন উন্মাদিনী গান সকরুণ স্বরে, ধীরে ধীরে বাজে করে বীণা বিষাদিনী । সে শোকসংগীতকথা শুনে কঁদে তরুলতা, তমসা আকুল হয়ে কঁদে উভরায় । निशि नन्लिीछति গদগদ আদিকবি অন্তরে করুণাসিন্ধু উথলিয়া ধায় ।” সারদা দেবীর এই এক করুণামূর্তি। তাহার পর ২১ শ্লোক হইতে আবার একটি কবিতার আরম্ভ হইয়াছে। সে কবিতায় সারদা দেবী ব্ৰহ্মার মানস-সরোবরে সুবৰ্ণপদ্মের উপর দাড়াইয়াছেন এবং র্তাহার অসংখ্য ছায়া বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে প্রতিবিম্বিত হইয়াছে। ইহা সারদা দেবীর বিশ্বব্যাপিনী সৌন্দর্যমূর্তি । ফুটে ঢল ঢল করে নীল জলে মনোহর সুবৰ্ণনলিনী, পাদপদ্ম রাখি। তায় হাসি হাসি ভাসি যায় ষোড়শী রূপসী বামা পূর্ণিমাযামিনী । কোটি শশী উপহাসি উথলে লাবণ্যরাশি, তরল দাপণে যেন দিগন্ত আবরে ; আচম্বিতে অপরাপ রূপসীর প্রতিরূপ হাসি হাসি ভাসি ভাসি উদয় অম্বরে ।” এই সারদা দেবীর spirit of Beauty-র নব-অভূদিত করুণা-বালিকামূর্তি এবং সর্বত্রব্যাপ্ত সুন্দরী ষোড়শীমূর্তির বর্ণনা সমাপ্ত করিয়া কবি গাহিয়া উঠিয়াছেন “তোমারে হৃদয়ে রাখি সদানন্দ মনে থাকি, শ্মশান অমরাবতী দুই ভালো লাগে - গিরিমালা, কুঞ্জবন, যখন যেখানে যাই, যাও আগে আগে -