পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিনের মাঝামাঝি মধু বিধু দুই ভাই পিতা বসি ছিল দ্বারে, শিশু নয়ন-চুলানো কোমল পরশ ঘুমের পরশ যথামাখা যেন তায় মেঘের কাহিনী, নীল আকাশের কথা । কতমত কলরব, প্ৰভাতের সুখ, উড়িবার আশা— মনে পড়ে যেন সব । লয়ে সে পালক কপোলে বুলায়, বলে হেসে হেসে, ‘ওমা, দেখ দেখ, কী এনেছি দেখ চেয়ে ।” মা দেখিল চেয়ে, কহিল হাসিয়ে, 'दिकदा ख्झिन्Cिनद्ध छिदि !' ভূমিতে ফেলিয়া গেল সে চলিয়া, আর না, চাহিল ফিরি । মেয়েটির মুখে কথা না ফুটিল, মাটিতে রহিল বসি । শূন্য হতে যেন পাখির পালক ভূতলে পড়িল খসি । খেলাধুলো তার হল নাকে আর, হাসি মিলাইল মুখে, ধীরে ধীরে শেষে দুটি ফোটা জল দেখা দিল দুটি চোখে । গোপনের ধন তারআপনি খেলিত, আপনি তুলিত, দেখাত না করে আর । পূজার সাজ পূজার সময় এল। কাছে । আনন্দে দু-হাত তুলি নাচে । “কী পোশাক আনিয়াছ কিনে ৷” পিতা কহে, ‘আছে আছে তোদের মায়ের কাছে, দেখিতে পাইবি ঠিক দিনে ।” উঠিল বাজনা বাজি, ছুটাছুটি করে তাই, দুজনে শুধালো তারে, Q Գ