পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ዓዓ S হইয়া আছে, তাহারা শিশুকালে প্রতিবেশীর ছেলেকে মারে, বিদ্যালয়ে সহপাঠীকে মারে, কলেজে LLLLLLL DBBB LLLLLLLL LB BBBJS DD BB TBBBB LODD BB DDD S তাহাদের ধর্মগ্রন্থের উপদেশ অরণ্যরোদনে পরিণত হয়। তাই হার্বাির্ট স্পেন্সার তাহার। Facts and Comments গ্রন্থের ত্রিংশত্তম পৃষ্ঠায় লিখিতেছেন But the refusal to recognize the futility of mere instruction as a means to moralization, is most strikingly shown by ignoring the conspicuous fact that after two thousand years of Christian exhortations, uttered by a hundred thousand priests throughout Europe, pagan ideas and sentiments remain rampant, from emperors down to tramps. Principles admitted in theory are scorned in practice. Forgiveness is voted dishonourable. An insult must be wiped out by blood the obligation being so peremptory that an officer is expelled from the army for even daring to question it. And in international affairs the sacred duty of revenge, supreme with the savage, is supreme also with the so-called civilized. ইহা না হইয়া যায় না। চালের একটি খড় পোড়াইতে গেলেও সমস্ত চালে আগুন লাগে । কাড়াকড়ি ঘুষাঘুষিকে সমাজের সর্বত্র প্রচলিত করিলে, তবেই আবশ্যকের সময় তাহা অনায়াসপ্রাপ্য হয় । টুথ প্রভৃতি বিলাতি কাগজে পুলিস আদালতের বিবরণে নিজের স্ত্রীকে, পুত্ৰ-কন্যাকে, আত্মীয়-প্রতিবেশীকে যেরূপ নির্মম পাশবিভাবে আঘাত করার উদাহরণ দেখিতে পাই, আমাদের হিন্দুসমাজে তাহার সিকির সিকিও দেখা যায় না। শিকারি বিড়ালের গোফ দেখিলেই চেনা যায় ; কে পিলা ফাটাইবে এবং কাহার পিলা ফাটিবে এই পুলিসের বিবরণী হইতেই তাহা স্পষ্ট দেখা যাইবে । আমাদের দেশে ছেলেতে ছেলেতে ঝগড়া যদি মারামারি পর্যন্ত ওঠে, তবে যাহাতে আঘাত গুরুতর না হয়, লড়াইকারীর সে চেষ্টা বরাবর থাকে- গালে চড়, পিঠে চাপড়ের উর্ধের্ব প্রায় ওঠে না । সে আমাদের সমাজের শিক্ষা ; দূর হইতে সুদূরে আত্মীয়তা বিস্তার করাই আমাদের অভ্যাস ; আমরা ঘনিষ্ঠ হইয়া বাস করি- আমরা যদি ক্ষমা না করি, ধৈৰ্য না ধরি, তবে আমাদের সমাজ ভাঙিয়া যায়, শাস্ত্রের শিক্ষা ব্যর্থ হয় । অতএব আমাদের দুই জাতের দুইরকম আচরণ। য়ুরোপে শাস্ত্রের শিক্ষা ও সমাজের ব্যবহার পরস্পরবিরোধী। আমাদের সমাজ ক্ষমা, ধৈৰ্য, সন্তোষ ও সর্বভূতে দয়া, এই শাস্ত্ৰমতের অনুকূলে প্রতিষ্ঠিত। এই সমাজে সুদীর্ঘকাল হইতে আমাদের চরিত্র গঠিত। অতএব মারামারিতে আমাদিগকে ইংরাজের কাছে হঠিতে হয়- কেবল ভয়ে নহে, অনভ্যাসে । যদি হঠিতে না চাও, তবে শিশুকাল হইতে ঘরে-পরে সর্বত্র তাহার আয়োজন করিতে হয় । যাহা আমার তাহাতে কাহাকেও অংশ বসাইতে দিব না ; যাহা পরের তাহা জবর-দখল করিতে চেষ্টা করিব ; দুর্বল সহপাঠীর উপর অন্যায় অত্যাচার করিব ; ঘুষি মারিবার সময় কাহারও নাক চােখ বাচাইয়া চলিব না, এবং নিষ্ঠুরতায় বিমুখ হওয়াকে পৌরুষের অভাব বলিয়া গণ্য করিব। এইরূপে যখন আমাদের আমূল পরিবর্তন হইবে, তখন ইংরাজে-দেশীতে হাতাহাতি সমানভাবে চলিবে । বাঘে-সিংহে থাবা-মারামারি যেমন অত্যন্ত আমোদজনক দৃশ্য, আমাদেরও দাত-ভাঙাভাঙি সেইরূপ পরম কৌতুকাবহ হইতে পরিবে । ) নতুবা কী হইবে। যে ব্যক্তি শিক্ষায় ও অভ্যাসে ও পুরুষানুক্রমে স্বভাববর্বর নহে, সে যদি কর্তৃব্যের অনুরোধে চোখ কান বুজিয়া প্রকৃতিবিরুদ্ধ উদযোগে প্ৰবৃত্ত হয়, তবে যে ভীষণ বর্বরতাকে জাগাইয়া