পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏬᎼ রবীন্দ্র-রচনাবলী নিদ্রার সাগর-জলে মহা আঁধারের তলে, চারিদিকে প্রসারিত এ কী এ নূতন দেশ, একত্রে স্বরগ-মর্ত্য, নাহিকো দিকের শেষ । কী যে ষায় কী যে আসে চারিদিকে আশেপাশে ; কেহ কাদে কেহ হালে, কেহ থাকে কেহ যায়, মিশিতেছে, ফুটিতেছে, গড়িতেছে, টুটিতেছে, অবিশ্রাম লুকাচুরি আঁখি না সন্ধান পায়। কত আলো কত ছায়া, কত আশা কত মায়া, কত ভয় কত শোক, কত কী যে কোলাহল, কত পশু কত পাখি, কত মামুষের দল। উপরেতে চেয়ে দেখো কী প্রশান্ত বিভাবরী, নিশ্বাস পড়ে না যেন জগৎ রয়েছে মরি। একবার করো মনে আঁধারের সংগোপনে কী গতীর কলরব চেতনার ছেলেখেলা, সমস্ত জগং ব্যেপে স্বপনের মহামেলা । মনে মনে ভাবি তাই এও কি নহে রে ভাই চৌদিকে যা কিছু দেখি জাগিয়া সকালবেলা এও কি নহে রে শুধু চেতনার ছেলেখেলা । স্বপ্ন, তুমি এস কাছে, মোর মুখপানে চাও, তোমার পাখার পরে মোরে তুলে লয়ে যাও। হৃদয়ের দ্বারে দ্বারে ভ্ৰমি মোরা সারা নিশি, প্রাণে প্রাণে খেলাইয়া প্রভাতে যাইব মিশি। ওই যে মায়ের কোলে মেয়েটি ঘুমায়ে আছে, একবার নিয়ে যাও ওদের প্রাণের কাছে। দেখিব কোমল প্রাণে মুখের প্রভাত-হাসি মুধায় ভরিয়া প্রাণ কেমনে বেড়ায় ভাসি।