পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতির প্রতিশোধ ›ዓዓ বিন্দে । ওগো, ওগো, এ কী । আমি কোথায় যাচ্ছি। সকলে । (খাট নামাইয়া) চুপ কর বেটী । দ্বিতীয় । শালা মরে গিয়েও কথা কয়। চতুর্থ। তুই যে মরেছিল রে । হাত-পাগুলো সিধে করে চিত হয়ে পড়ে থাক । বিন্দে। আমি মরি নি, আমি ঘুমোচ্ছিলুম। পঞ্চম। মরেছিল তোর হশ নেই, তুই তর্ক করতে বসলি ! এমনি বেটার বুদ্ধি বটে ! । ষষ্ঠ । ওর কথা শোন কেন । বিপদে পড়ে এখন মিথ্যে কথা বলছে । সপ্তম । মিছে দেরি কর কেন ? ও কি আর কবুল করবে ? চলো ওকে পুড়িয়ে নিয়ে আসি গে । বিনে । দোহাই বাবা, আমি মরি নি। তোদের পায়ে পড়ি বাবা, আমি মরি নি । প্রথম । আচ্ছা, আগে প্রামাণ কর তুই মরিস নি। বিন্দে। হা, আমি প্রমাণ করে দেব, আমার স্ত্রীর হাতে শাখা আছে দেখবে চলো । দ্বিতীয়। না, তা না, ওকে মার, দেখি ওর লাগে কি না । তৃতীয় । ( মারিয়া ) লাগছে ? বিন্দে । উঃ ! চতুর্থ। এটা কেমন লাগল ? বিন্দে । ও বাবা । পঞ্চম । এটা কেমন ? বিনে । তুমি আমার ধৰ্মৰাপ । [ সহসা ছুটিয়া পলায়ন ও হালিতে হাসিতে সকলের অনুগমন সন্ন্যাসী। আহা শ্রাস্তদেহে বালা ঘুমিয়ে পড়েছে । ভুলে গেছে সংসারের অনাদর-জ্বালা । কঠিন মাটিতে শুয়ে শিরে হাত দিয়ে ঘুমের মায়ের কোলে রয়েছে আরামে । যেন এই বালিকার ছোটো হাত দুটি হৃদয়েরে অতি ধীরে করিছে বেষ্টন । পালা, পালা এইবেল, পালা এইবেল ।