পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ዓኳ” বালিকা । সন্ন্যাসী । বালিকা । সন্ন্যাসী । প্রথম স্ত্রী। ( কোনো পুরুষের প্রতি ) যাও, যাও, আর মুখের ভালোবাসা দেখাতে হবে না । রবীন্দ্র-রচনাবলী ঘুমিয়েছে, এইবেল ওঠ রে সন্ন্যাসী । পলায়ন । পলায়ন ! ছি ছি পলায়ন | অবহেলা করি আমি বিশ্বজগতেরে বালিকা দেখিয়া শেষে পলাইতে হবে । কখনো না, পালাব না, রহিব এমনি । প্রকৃতি, এই কি তোর মায়ার্কাদ যত । এ উর্ণাজালে তো শুধু পতঙ্গেরা পড়ে । ( চমকিয়া জাগিয়া ) প্রভু চলে গেছ তুমি । গেছ কি ফেলিয়া ! কেন যাব । কার ভয়ে পলাইব আমি ! ছায়ার মতন তোরে রাখিব কাছেতে, তবুও রহিব আমি দূর হতে দূরে । ওই শোনো, রাজপথে মহা কোলাহল । কোলাহল মাঝে আমি রচিব নির্জন, নগরে পথের মাঝে তপোবন মোর, পাতিব প্রলয়াসন সৃষ্টির হৃদয়ে । একদল পুরুষ ও স্ত্রীলোকের প্রবেশ প্রথম পুরুষ। কেন, কী অপরাধ করলুম ? স্ত্রী। জানি গো জানি, তোমরা পুরুষমামুষ, তোমাদের পাষাণ প্রাণ । প্রথম পুরুষ। আচ্ছা, আমাদের পাষাণ প্রাণই যদি হবে, তবে ফুলশরকে কেন ডরাই ? (অন্ত সকলের প্রতি ) কী বল ভাই । যদি পাষাণই হবে তবে কি আর ফুলশরের আঁচড় লাগে ! দ্বিতীয় পুরুষ। বাহুৰা, বেশ বলেছ। তৃতীয় পুরুষ। শাবাশ, খুড়ো, শাবাশ । চতুর্থ পুরুষ। ( স্ত্রীলোকের প্রতি ) কেমন ! এখন জবাব দাও ! প্রথম পুরুষ। না, তাই বলছি। তোমরা তো দশ জন আছ, তোমরাই বিচার করে বল না কেন, যদি পাষাণ প্রাণই হবে, তবে—