পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y38 বালিকা । সন্ন্যাসী । বালিকা । সন্ন্যাসী । স্ত্রী। দেখ দেখি মিশ্রদের বাড়ির ছেলেগুলি কেমন রিষ্টপুষ্ট ! দেখলে দু-দও চেয়ে থাকতে ইচ্ছা করে— আর এদের ছিরি দেখো না, যেন বৃষকণষ্ঠ দাড়িয়ে আছেন, রবীন্দ্র-রচনাবলী পশ্চাতে স্রোতের টানে চলেছি ভাসিয়া, সবাই চলেছে যেথা ছুটেছি লেখাই । দরিদ্র বালিকার প্রবেশ ওগো, দয়া করে মোরে অামি অনাথিনী । (সহসা চমকিয়া উঠিয়া ) কে রে তুই ? কে রে বাছ ? কোথা হতে এলি ? অনাথিনী ? তুইও কি তারি মতো তবে ? তোরেও কি ফেলে কেউ গিয়েছে পলায়ে ? তারেই কি চারি দিকে খুজিয়া বেড়াল ? বৎসে, কাছে আয় তুই– দে রে পরিচয় । ভিখারি রালিকা আমি, সন্ন্যাসী ঠাকুর, অন্ধ বৃদ্ধ মাতা মোর রোগশয্যাশায়ী । আসিয়াছি একমুঠ ভিক্ষারের তরে। আহা বৎসে, নিয়ে চল কুটিরেতে তোর । রুগণ তোর জননীরে দেখে আসি আমি । যেন সাত কুলে কেউ নেই, যেন সাত জন্মে খেতে পান না । সস্তানগণ । তা আমরা কী করব মা । আমাদের দোষ কী ? মা। বললেম, বলি, রোজ সকালে ভালো করে হলুদ মেখে তেল মেখে স্তান কর,—ধাত পোষ্টাই হবে, ছিরি ফিরবে, তা তো কেউ শুনবে না ! আহা ওদের দিকে চাইলে চোখ জুড়িয়ে যায়, রং যেন দুধে-আলতায়— সপ্তানগণ। আমাদের রং কালে তা আমরা কী করব ? ম। তোদের রং কালো কে বললে ? তোদের রং মন্দ কী ? তবে কেন ওদের মতো দেখায় না ? [ প্রস্থান কতকগুলি সন্তান লইয়া এক জন স্ত্রীলোকের প্রবেশ