পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ক্ষুদ্র এক বালিকার ক্ষীণ কণ্ঠধ্বনি পারিলি নে ডুবাইতে ? এখনো শুনি যে। ওই যে সে কাদিতেছে করুণ স্বরেতে নিশীথের বুক ফেটে উঠিছে সে ধ্বনি । কোথা যাব, কোথা যাব, কোন অন্ধকারে— জগতের কোন প্রাস্তে, নিশীথের বুকে — ধরণীর কোন ঘোর, ঘোর গর্ভতলে— এ ধ্বনি কোথায় গেলে পশিবে না কানে । যাই ছুটে আরো, আরো অরণ্যের মাঝে— মহাকায় তরুদের জটিলতা মাঝে দিগ্বিদিক হারাইয়া মগ্ন হয়ে যাই। চতুর্দশ দৃশ্য প্রভাত সন্ন্যাসী । ( অরণ্য হইতে ছুটিয়া বাহিরে আসিয়া ) যাক, রসাতলে যাক সন্ন্যাসীর ব্রত ! (ছুড়িয়া ফেলিয়া) দূর করো, ভেঙে ফেলো দও কমণ্ডলু। আজ হতে আমি অপর নহি রে সন্ন্যাসী ! পাষাণ-সংকল্পভার দিয়ে বিসর্জন আনন্দে নিশ্বাস ফেলে বাচি এক বার | হে বিশ্ব, হে মহাতরী চলেছ কোথায়, আমারে তুলিয়া লও তোমার আশ্রয়ে— এক আমি সাতারিয়া পারিব না যেতে | কোটি কোটি যাত্রী ওই যেতেছে চলিয়া, আমিও চলিতে চাই উহাদেরি সাথে । যে পথে তপন শশী আলো ধরে আছে, সে পথ করিয়া তুচ্ছ, সে আলো ত্যজিয়া,