পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়ার খেল৷ তুলে দে লো চঞ্চল কুন্তল কপোলে পড়িছে বারেবার। প্রথম । আজি এত শোভা কেন, আনন্দে বিবশ যেন। দ্বিতীয়া । বিম্বাধরে হালি নাহি ধরে, লাবণ্য ঝরিয়া পড়ে ধরাতলে । প্রথম । সখী, তোরা দেখে যা, দেখে যা, তরুণ তনু, এত রূপরাশি বহিতে পারে না বুঝি আর । তৃতীয়া । সখী, বহে গেল বেল, শুধু হাসিখেলা, এ কি আর ভালো লাগে ! আকুল তিয়াষ, প্রেমের পিয়াল, প্রাণে কেন নাহি জাগে ! কৰে আর হবে থাকিতে জীবন আঁখিতে আঁখিতে মদির মিলন, মধুর হুতাশে মধুর দহন, নিত-নব অমুরাগে । তরল কোমল নয়নের জল নয়নে উঠিবে ভাগি । সে বিষাদ-নীরে নিবে যাবে ধীরে প্রথর চপল হাসি । উদাস নিশ্বাস আকুলি উঠিবে, আশা-নিরাশায় পরান টুটিবে, মরমের আলো কপোলে ফুটিবে, শরম-অরুণ-রাগে । প্রমদা । ওলো রেখে দে, সখী, রেখে দে, মিছে কথা ভালোবায়া । মুখের বেদনা, সোহাগ যাতনা, বুঝিতে পারি না ভাষা। ফুলের বাধন, সাধের কাদন, পরান সঁপিতে প্রাণের সাধন, ২৩৫