পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ মন্ত্রী। দেবদত্ত । মন্ত্রী। দেবদত্ত । মন্ত্রী। দেবদত্ত । রবীন্দ্র-রচনাবলী এ কি হাসিবার কথা ব্ৰাহ্মণ ঠাকুর ? না হাসিয়া করিব কী। অরণ্যে ক্ৰন্দন সে তো বালকের কাজ । দিবস-রজনী বিলাপ না হয় সহ তাই মাঝে মাঝে রোদনের পরিবর্তে শুষ্ক শ্বেত হালি জমাট অশ্রীর মতো তুষার-কঠিন। কী ঘটেছে বলে শুনি। জান তো সকলি । রানীর কুটুম্ব যত বিদেশী কাশ্মীরী দেশ জুড়ে বসিয়াছে। রাজার প্রতাপ ভাগ করে লইয়াছে খণ্ড খণ্ড করি, বিষ্ণুচক্রে ছিন্ন মৃত সতীদেহ সম । বিদেশীর অত্যাচারে জর্জর কাতর কাদে প্রজ] | অরাজক রাজসভামাঝে মিলায় ক্রনন । বিদেশী অমাত্য যত বলে বসে হাসে। শূন্ত সিংহাসন-পাশ্বে বিদীর্ণ হৃদয় মন্ত্রী বসি নতশিরে । বহে ঝড়, ডোবে তরী, কঁদে যাত্রী যত, রিক্তহস্ত কর্ণধার উচ্চে একা বসি বলে ‘কৰ্ণ কোথা গেল।’ মিছে খুজে মর, রমণী নিয়েছে টেনে রাজকর্ণখানা, বাহিছে প্রেমের তরী লীলা-সরোবরে বসন্ত-পবনে। রাজ্যের বোঝাই নিয়ে মন্ত্রীট মরুক ডুবে অকুল পাথারে। হেলো না ঠাকুর । ছি ছি, শোকের সময়ে হালি অকল্যাণ । অামি বলি মন্ত্রিবর, রাজারে ডিঙায়ে, একেবারে পড়ো গিয়ে রানীর চরণে । আমি পারিব না তাহা ।