পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা ও রানী ఫిలిసి নন্দ । চাষাভুষোর মুখে ষে-কথাটা ছোট্ট, বড়োলোকের মুখে সেইটেই কত বড়ো শোনায় । | 帧 মন্মুখ । কিন্তু কথাটা ভালো, “বাড়াবাড়ি কিছু নয়” শুনে রাজার চোখ ফুটবে। জওহর। কিন্তু ওই একটাতে হবে না, আরও শাস্তর চাই । মর রাম। তা আমার পুজি আছে, আমি বলব।-- “লালনে বহুবো দোষাস্তাড়নে বহুবো গুণঃ علي" তস্মাৎ মিত্রঞ্চ পুত্রঞ্চ তাড়য়েং ন তু লালয়েৎ ।” তা আমরা কি পুত্র নই ? হে মহারাজ, আমাদের তাড়ন করবে না— ওইটে ভালো নয় । হরিদীন। এ ভালো কথা, মস্ত কথা, ওই যে কী বললে, ও কথাগুলো শোনাচ্ছে ভালো । ঐহর । কিন্তু কেবল শাস্তর বললে তো চলবে না—আমার ঘানির কথাটা কখন আসবে ? অমনি ওই সঙ্গে জুড়ে দিলে হয় না ? নন্দ। বেটা তুমি ঘানির সঙ্গে শাস্তর জুড়বে ? এ কি তোমার গোরু পেয়েছ ? জওহর। কলুর ছেলে, ওর আর কত বুদ্ধি হবে ? কুঞ্জয় ৷ ছু ঘা না পিঠে পড়লে ওর শিক্ষা হবে না। কিন্তু আমার কথাটা কখন পাড়বে ? মনে থাকবে তো ? আমার নাম কুঞ্জরলাল। কাঞ্জিলাল নয়— সে আমার ভাইপো, সে বুধকোটে থাকে – সে যখন সবে তিন বছর তখন তাকে— হরিদীন। সব বুঝলুম, কিন্তু যে-রকম কাল পড়েছে, রাজা যদি শাস্তর ন৷ শোনে । * কুঞ্জর। তখন আমরাও শাস্তর ছেড়ে অস্তর ধরব । কিন্তু । শাবাশ বলেছ, শাস্তর ছেড়ে অস্তর । মনস্থখ। কে বললে হে ? কথাটা কে বললে ? কুঞ্জর । ( লগর্বে ) আমি বলেছি। আমার নাম কুঞ্জরলাল, কাঞ্জিলাল আমার ভাইপো । F. কিছু ৷ তা ঠিক বলেছ ভাই— শাস্তর আর অন্তর— কখনো শাস্তর কখনো অন্তর—আবার কখনো অস্তর কখনো শাস্তর। জওহর। কিন্তু বড়ো গোলমাল হচ্ছে। কথাটা কী যে স্থির হল বুঝতে পারছি নে। শাস্তর না অস্তর ?