৩•২ ৷ রবীন্দ্র-রচনাবলী छूशैग्न अझ প্রথম দৃশ্য কাশ্মীর প্রাসাদ-সম্মুখে রাজপথ দ্বারে শংকর ংকর। এতটুকু ছিল, আমার কোলে খেলা করত। যখন কেবল চারটি क्राउ উঠেছে তখন সে আমাকে সংকল দাদা বলত। এখন বড়ো হয়ে উঠেছে, এখন সংকল দাদার কোলে আর ধরে না, এখন সিংহাসন চাই। স্বগীয় মহারাজ মরবার সময় তোদের দুটি ভাইবোনকে আমার কোলে দিয়ে গিয়েছিল । বোনটি তে ছুদিন বাদে স্বামীর কোলে গেল। মনে করেছিলুম কুমারসেনকে আমার কোল থেকে একেবারে সিংহাসনে উঠিয়ে দেব। কিন্তু খুড়ো-মহারাজ আর সিংহাসন থেকে নাবেন না। শুভলগ্ন কতবার হল, কিন্তু আজ কাল করে আর সময় হল না । কত ওজর কত আপত্তি। আরে ভাই সংকলের কোল এক, আর সিংহাসন এক । বুড়ো হয়ে গেলুম —তোকে কি আর রাজাসনে দেখে যেতে পারব । দুইজন সৈনিকের প্রবেশ প্রথম সৈনিক। আমাদের যুবরাজ কবে রাজা হবে রে ভাই ? সেদিন আমি তোদের সকলকে মন্থয়। খাওয়াব । দ্বিতীয় সৈনিক। আরে, তুই তো মহুয়া খাওয়াবি–আমি জান দেব, আমি লড়াই করে করে বড়াব, আমি পাঁচটা গা লুট করে আনব । আমি আমার মহাজন বেটার মাথা ভেঙে দেব। বলিস তো, আমি খুশি হয়ে যুবরাজের সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমনি মরে পড়ে যাব। ū প্রথম সৈনিক । তা কি আমি পারি নে। মরবার কথা কী বলিস। আমার যদি সওয়া-শ বরষ পরমায়ু থাকে আমি যুবরাজের জন্তে রোজ নিয়মিত দু-সন্ধ্যে দু-বার করে মরতে পারি। তা ছাড়া উপরি অাছে। দ্বিতীয় সৈনিক। ওরে যুবরাজ তো আমাদেরই। স্বৰ্গীয় মহারাজ তাকে আমাদেরই হাতে দিয়ে গেছেন । আমরা তাকে কাধে করে ঢাক বাজিয়ে রাজা করে দেব। ত, কাউকে ভয় করব না— \