পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা ও রানী * లివరి নারায়ণী । মিছে ব’কে না । মাথা খাও, সত্যি করে বলে, কোথায় যাবে ? দেবদত্ত । রাজার কাছে। নারায়ণী । রাজা তো যুদ্ধ করতে গেছে। তুমি যুদ্ধ করবে নাকি ! ত্রোণাচাৰ श्ब्र खेcठंझ ? দেবদত্ত । তুমি থাকতে আমি যুদ্ধ করব ? যা হোক, এবার যাওয়া যাক । নারায়ণী। সেই অবধি তে ওই এক কথাই বলছ। তা যাও না। কে তোমাকে মাথার দিব্যি দিয়ে ধরে রেখেছে ? দেবদত্ত । হায় মকরকেতন, এখানে তোমার পুস্পশরের কর্ম नव- একেবারে আস্ত শক্তিশেল না ছাড়লে মর্মে গিয়ে পৌছয় না। বলি ও শিখরদশন, পকবিম্বাধরোষ্ঠী, চোখ দিয়ে জলটল কিছু বেরোবে কি ? সেগুলো শীঘ্র শীঘ্র সেরে ফেলো— আমি উঠি । নারায়ণী । পোড়া কপাল । চোখের জল ফেলব কী দুঃখে ? ই গা, তুমি না গেলে কি রাজার যুদ্ধ চলবে না ? তুমি কি মহাবীর ধূম্রলোচন হয়েছ ? দেবদত্ত । আমি না গেলে রাজার যুদ্ধ থামবে না । মন্ত্রী বার বার লিখে পাঠাচ্ছে রাজ্য ছারখারে যায় কিন্তু মহারাজ কিছুতেই যুদ্ধ ছাড়তে চান না । এদিকে বিদ্রোহ সমস্ত থেমে গেছে । নারায়ণী । বিদ্রোহই যদি থেমে গেল তো মহারাজ কার সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাবেন ? দেবদত্ত। মহারানীর ভাই কুমারসেনের সঙ্গে । নারায়ণী । ই গা, সে কী কথা । খালার সঙ্গে যুদ্ধ ? বোধ করি রাজায় রাজায় এইরকম করেই ঠাট্টা চলে । আমরা হলে শুধু কান মলে দিতুম। কী বল ? দেবদত্ত। বড়ো ঠাট্ট নয়। মহারানী কুমারসেনের সাহায্যে জয়সেন ও যুধাজিংকে যুদ্ধে বন্দী করে মহারাজের কাছে নিয়ে আসেন। মহারাজ তাকে শিবিরে প্রবেশ করতে দেন নি । নারায়ণী । ই গা, বল কী ? তা তুমি এতদিন যাও নি কেন । এ খবর শুনেও বসে আছ ? যাও, যাও, এখনি যাও । আমাদের রানীর মতো অমন সতীলক্ষ্মীকে অপমান করলে ? রাজার শরীরে কলি প্রবেশ করেছে । o দেবদত্ত । বন্দী বিদ্রোহীর রাজাকে বলেছে—মহারাজ, আমরা তোমারই প্রজা— অপরাধ করে থাকি তুমি শাস্তি দেবে। একজন বিদেশী এসে আমাদ্ধের অপমান করবে এতে তোমাকেই অপমান করা হল – যেন তোমার নিজ রাজ্য নিজে