পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শংকর । সুমিত্ৰা । রাজা ও রানী দুর শৈল-পরপারে রহস্ত-নগরী। ংকর আসিছে ওই ফিরে । শোনা যাক কী সংবাদ । শংকরের প্রবেশ প্রভু তুমি, তুমি মোর রাজা, ক্ষমা করে বৃদ্ধ এ শংকরে। ক্ষমা করে। রানী, দিদি মোর। মোরে কেন পাঠাইলে দূত করে রাজার শিবিরে । আমি বৃদ্ধ, নহি পটু সাবধান বচন-বিস্তালে, আমি কি সহিতে পারি তব অপমান ? শাস্তির প্রস্তাব গুনে যখন হাসিল ক্ষুদ্র জয়সেন, হাসিমুখে ভৃত্য যুদ্ধাজিৎ করিল স্বতীব্র উপহাস, সভ্ৰভঙ্গে কহিল। বিক্রমদেব জালন্ধররাজ তোমারে বালক, ভীরু ; মনে হল যেন চারিদিকে হালিতেছে সভাসদ যত পরম্পর মুখ চেয়ে, হাসিতেছে দূরে দ্বারের প্রহরী— পশ্চাতে আছিল যারা তাদের নীরব হাসি ভুজঙ্গের মতো যেন পৃষ্ঠে আসি মোর দংশিতে লাগিল । তখন তুলিয়া গেছু শিখেছিছু যত শান্তিপূর্ণ মুছবাক্য। কছিলাম রোষে— “কলহেরে জান তুমি বীরত্ব বলিয়া, নারী তুমি, নহ ক্ষত্রবীর। সেই খেঙ্গে মোর রাজা কোষে লয়ে কোষকদ্ধ অসি ফিরে যেতেছেন দেশে, জানাইমু সবে ।” গুনিয়া কম্পিততকু জালন্ধরপতি। প্রস্তুত হতেছে সৈন্য । ক্ষমা করো ভাই ।