পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૭8 রবীন্দ্র-রচনাবলী শত্ৰু তিনি, আসিছেন শক্রভাব ধরি । , অকাতরে সহিয়াছি নিজ অপমান, কেমনে উপেক্ষা করি রাজ্যের বিপদ । চন্দ্রসেন । সেজন্য ভেবো না বৎস, যথেষ্ট রয়েছে বল। কাশ্মীরের তরে আশঙ্কা কিছুই নাই । কুমারসেন । মোর হাতে দাও সৈন্তভার । চআসেন । দেখ। যাবে পরে। আগে হতে প্রস্তুত হইলে অকারণে জেগে ওঠে যুদ্ধের কারণ । আবখ্যক কালে তুমি পাবে সৈন্তভার । রেবতীর প্রবেশ রেবতী । , কে চাহিছে সৈন্যভার ? মুমিত্রা ও কুমারসেন । প্রণাম জননী । রেবতী । যুদ্ধে ভঙ্গ দিয়ে তুমি এসেছ পলায়ে, নিতে চাও অবশেবে ঘরে ফিরে এসে সৈন্যভার ? তুমি রাজপুত্র ? তুমি চাও কাশ্মীরের সিংহাসন ? ছিছি লজ্জাহীন । বনে গিয়ে থাকো লুকাইয়া । সিংহাসনে বসে যদি, বিশ্বযুদ্ধ সকলে দেখিবে কনককিরািটচুড়া কলঙ্কে অঙ্কিত । কুমারসেন ৷ জননী, কী অপরাধ করেছি চরণে ? কী কঠিন বচন তোমার। এ কি মাতা । মেহের ভৎসন । বহুদিন হতে তুমি অপ্রসন্ন অভাগার পরে । রোষ দীপ্ত" দৃষ্টি তব বিধে মোর মর্মস্থলে সদা ; কাছে গেলে চলে যাও কথা ন কহিয়। অন্ত ঘরে ; আকারণে কহ তীব্র বাণী ।