পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C)○b" রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রথমে ওই মহাজনদের গমের বস্তাগুলো লুটে নেওয়া যাক । তার পরে বি আছে, চামড়া আছে, কাপড় আছে । ষষ্ঠের প্রবেশ যষ্ঠ । শুনেছিস, যুবরাজ লুকিয়েছেন গুনে জালন্ধরের রাজা রটিয়েছে, যে তার সন্ধান বলে দেবে তাকে পুরস্কার দেবে। পঞ্চম । তোর এ-সব খবরে কাজ কী ? দ্বিতীয়। তুই পুরস্কার নিবি নাকি ? প্রথম । আয় না ভাই, ওকে সবাই মিলে পুরস্কার দিই। যা হয় একটা কাজ আরম্ভ করে দেওয়া যাক। চুপ করে বসে থাকতে পারি নে। যষ্ঠ। আমাকে মারিস নে ভাই, দোহাই বাপসকল । আমি তোদের সাবধান করে দিতে এসেছি । দ্বিতীয়। বেটা তুই আপনি সাবধান হ। পঞ্চম। এ খবর যদি তুই রটাবি তাহলে তোর জিভ টেনে ছিড়ে ফেলব। দূরে কোলাহল অনেকে মিলিয়া । এসেছে—এসেছে । সকলে । ওরে এসেছে রে, জালন্ধরের সৈন্য এসে পৌচেছে। প্রথম । তবে আর কী। এবারে লুঠ করতে চললুম। ওই জনাৰ্দন থলে ভরে গোরুর পিঠে বোঝাই করছে । এই বেলা চল । ওই জনাৰ্দনটাকে বাদ দিয়ে বাকি কটা গোরু বোঝাই-সুদ্ধ তাড় করা যাক । দ্বিতীয় । তোরা যা ভাই । আমি তামাশা দেখে আসি। সার বেঁধে খোলা তলোয়ার হাতে যখন সৈন্য আসে আমার দেখতে বড়ো মজা লাগে। গান যমের দুয়োর খোলা পেয়ে ছুটেছে সব ছেলেমেয়ে । হরিবোল হরিবোল । রাজ্য জুড়ে মস্ত খেলা মরণ-র্বাচন অবহেলা,