পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●8● রবীন্দ্র-রচনাবলী রেবতী । এই শুধু ? আর কিছু লয়/ অবশেষে মার্জন করিবে যদি তবে কেন এত ক্লেশে এত সৈন্ত লয়ে এত দুরে জাস / বিক্রমদেব। " ভৎসনা করে না মোরে । রাজার প্রধান কাজ আপনার মান রক্ষা করা । যে মস্তক মুকুট বহিছে অপমান পারে না বহিতে । মিছে কাজে আসি নি হেথায় । চতুলেন । ক্ষমা তারে করে, বৎস, বালক সে অল্পবুদ্ধি। ইচ্ছা কর যদি § রাজ্য হতে করিয়ো বঞ্চিত— কেড়ে নিয়ে। সিংহাসন-অধিকার । নির্বাসন সেও ভালো, প্রাণে বধিয়ো না । বিক্রমদেব । চাহি না বধিতে । রেবতী । তবে কেন এত অস্ত্র এনেছ বহিয়া । এত আসি শার ? নির্দোষী সৈনিকদের বধ করে যাবে, যথার্থ যে জন দোষী ক্ষমিবে তাহারে ? বিক্রমদেব । বুঝিতে পারি নে দেবী, কী বলিছ তুমি। চআসেন । কিছু নয়, কিছু নয়। আমি তবে বলি বুঝাইয়া । সৈন্য যবে মোর কাছে মাগিল কুমার আমি তারে কহিলাম, বিক্রম মেহের পাত্র মোর, তার সনে যুদ্ধ নাহি সাজে । সেই ক্ষোভে ক্রুদ্ধ যুব প্রজাদের ঘরে ঘরে গিয়া বিদ্রোহে করিল উত্তেজিত । অসন্তুষ্ট মহারানী তাই ; রাজবিদ্রোহীর শাস্তি করিছে প্রার্থন তোমা-কাছে । গুরুঙ্গও