পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বউ-ঠাকুরানীর হাট ડઝ૧

  • ॉर्टॉन थांबांब cनलाभ कबिब्रा कश्लि, “८कग्रा उच्छिद, यशव्रांछ, कैिक ठांश्ब्राझेब्रांप्छ्म ।" r * * ,

বসন্ত রায় কহিলেন, “এখন তোমার কী করা হয় ?” পাঠান নিশ্বাস ছাড়িয়া কহিল, “হুজুর, দুরবস্থায় পড়িয়াছি, এখন চাষবাস করিয়া গুজরান চালাইতে হইতেছে। কবি বলিতেছেন, হে অদৃষ্ট, তুমি যে তৃণকে তৃণ করিয়া গড়িয়াছ, ইহাতে তোমার নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পায় না, কিন্তু তুমি যে অশখ গাছকে অশথ গাছ করিয়া গড়িয়া অবশেষে ঝড়ের হাতে তাহাকে তৃণের সহিত সমতল করিয়া শোয়াও ইহাতেই আন্দাজ করিতেছি, তোমার মনটা পাথরে গড় ।” বসস্ত রায় নিতান্ত উল্লসিত হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “বাহব, বাহবা, কবি কী কথাই বলিয়াছেন । সাহেব, যে দুইটি বয়েং আজ বলিলে, ওই দুইটি লিখিয়া দিতে হুইবে ।” পাঠান ভাবিল, তাহার অদৃষ্ট সুপ্রসন্ন। বুড়া, লোক বড়ো সরেস ; গরিবের বহুং কাজে লাগিতে পরিবে । বসন্ত রায় ভাবিলেন, আহা, এককালে যে ব্যক্তি বড়োলোক ছিল আজ তাহার এমন দুরবস্থা। চপলা লক্ষ্মীর এ বড়ো অত্যাচার । মনে মনে তিনি কিছু কাতর হইলেন, পাঠানকে কহিলেন, “তোমার যে-রকম সুন্দর শরীর আছে, তাহাতে তো তুমি অনায়াসে সৈন্যশ্রেণীতে নিযুক্ত হইতে পার ।” পাঠান তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিল, “হুজুর, পারি বইকি। সেই তো আমাদের কাজ । আমার পিতা-পিতামহেরা সকলেই তলোয়ার হাতে করির মরিয়াছেন, আমারও সেই একমাত্র সাধ আছে । কবি বলেন,--” বসন্ত রায় হাসিতে হাসিতে কহিলেন, “কবি যাহাই বলুন বাপু, আমার কাজ যদি গ্রহণ কর, তবে তলোয়ার হাতে করিয়া মরিবার সাধ মিটিতেও পারে, কিন্তু সে তলোয়ার খাপ হইতে খোলা তোমার ভাগ্যে ঘটিয়া উঠিবে না। বুড়া হইয়া পড়িয়াছি, প্রজার সুখে স্বচ্ছন্দে আছে, ভগবান করুন, আর যেন লড়াই করিবার দরকার না হয় । বয়স গিয়াছে ; তলোয়ার ত্যাগ করিয়াছি। এখন তলোয়ারের পরিবর্তে আর-এক জন আমার পাণিগ্রহণ করিয়াছে।” এই বলিয়াই পাশ্বে শায়িত সহচরী সেতারটিকে দুই-একটি ঝংকার দিয়া একবার জাগাইয়া দিলেন । পাঠান ঘাড় নাড়িয়া চোখ বুজিয়া কহিল, ”আহ, যাহা বলিতেছেন, ঠিক বলিতেছেন । একটি বয়েৎ আছে যে, তলোয়ারে শক্রকে জয় করা যায়, কিন্তু সংগীতে শত্রুকে মিত্র করা যায় ।* বসন্ত রায় বলিয়া উঠিলেন, "কী বলিলে খ৷ সাহেব ? সংগীতে শক্রকে মিত্র করা ○ ○