পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8०७ রবীন্দ্র-রচনাবলী ۱۱ ا : ، )۱ ه কোথায় ষে আশ্ৰয় লইবেন ভাবিয়া পান না। রাজসভায় রমাই একপ্রকার ভঙ্গীতে দাপ্ত দেখায় ও ঘরে আসিয়া গৃহিণীর কাছে আর-একপ্রকার ভঙ্গীতে দাত দেখায়। কিন্তু গৃহিণীর যথার্থ স্বরূপ বর্ণনা করিলে নাকি হাস্যরস না আসিয়া করুণ রস আসে, এই নিমিত্ত রাজসভায় রমাই তাহার গৃহিণীকে স্থলকায়া ও উগ্ৰচণ্ড করিয়া বর্ণনা করেন, রাজ্য ও মন্ত্রীর হাসি রাখিতে পারেন না । I হালি থামিলে পর রাজা কহিলেন, “ওহে রমাই, তোমাকে যাইতে হইবে, সেনাপতিকেও সঙ্গে লইব ।” I সেনাপতি বুঝিলেন, এবার রমাই তাহার উপর দ্বিতীয় আক্রমণ করিবে। চশমাট চোখে তুলিয়া পরিলেন এবং বোতাম খুলিতে ও পরিতে লাগিলেন। রমাই কহিল, “উৎসবস্থলে যাইতে সেনাপতি মহাশয়ের কোনো আপত্তি থাকিতে পারে না, কারণ এ তো আর যুদ্ধস্থল নয়।” রাজা ও মন্ত্রী ভাবিলেন, ভারি একটা মজার কথা আলিতেছে ; আগ্রহের সহিত জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” রমাই। সাহেবের চক্ষে দিনরাত্রি চশমা আঁটা । ঘুমাইবার সময়েও চশমা পরিয়া শোন, নহিলে ভালো করিয়া স্বপ্ন দেখিতে পারেন না। সেনাপতি মহাশয়ের যুদ্ধে যাইতে আর কোনো আপত্তি নাই, কেবল পাছে চশমার কাচে কামানের গোলা লাগে ও কাচ ভাঙিয়া চোখ কানা হইয়া যায়, এই যা ভয় । কেমন মহাশয় ? সেনাপতি চোখ টপিয়া কহিলেন, “তাহ নয় তে কী।” তিনি আসন হইতে উঠিয়া কহিলেন, “মহারাজ, আদেশ করেন তো বিদায় হই ।” রাজা সেনাপতিকে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হইতে কহিলেন, “যাত্রার সমস্ত উদযোগ করে। আমার চৌষট্টি দাড়ের নৌকা যেন প্রস্তুত থাকে।” মন্ত্রী ও সেনাপতি প্রস্থান করিলেন । রাজা কহিলেন, “রমাই, তুমি তো সমস্তই শুনিয়াছ। গতবারে শ্বশুরালয়ে আমাকে বড়োই মাটি করিয়াছিল।” রমাই। আজ্ঞা ইl, মহারাজের লাজুল বানাইয়া দিয়াছিল। রাজা হাসিলেন, মুখে দন্তের বিদ্যুৎছটা বিকাশ হইল বটে, কিন্তু মনের মধ্যে দ্ৰোৱতর মেঘ করিয়া উঠিল । এ সংবাদ রমাই জানিতে পারিয়াছে গুনিয়া তিনি বড়ো সন্তুষ্ট নহেন। আর কেহ জানিলে ততটা ক্ষতি ছিল না । অনবরত গুড়গুড়ি টানিতে লাগিলেন । রম্যই কছিল, “আপনার এক গুগলক আসিয়া আমাকে কছিলেন “रोजङ्ग-षरङ्ग