পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 1 לין a. l }*i ! ! தி: - s * l i ff , * 4 + f * | * | * o

  • * *

Վ ', ' w * | 蠍 W. f

  • , * l r o f н o | h | | | s i } 。 H

J سیا۔ বিধবা রুক্মিণীর (মঙ্গলার ) কিঞ্চিৎ নগদ টাকা আছে। সেই টাকা খাটাইয়া মুদ লইয়া সে জীবিকা নির্বাহ করে। রূপ এবং রুপ। এই দুয়ের জোরে সে অনেককে বশে রাখিয়াছে। সীতারাম শৌখিন লোক, অথচ ঘরে এক পয়সার সংস্থান নাই, এইজন্ত রুক্মিণীর রূপ ও রুপা উভয়ের প্রতিই তাছার আস্তরিক টান আছে । যেদিন ঘরে হাড়ি কাদিতেছে, সেদিন সীতারামকে দেখো, দিব্য নিশ্চিস্ত মুখে হাতে লাঠি লইয়া পাতল চাদর উড়াইয়া বুক ফুলাইয়। রাস্তা দিয়া চলিতেছে, মঙ্গলার বাড়ি যাইবে । পথে যদি কেহ জিজ্ঞাসা করে, “কেমন হে সীতারাম, সংসার কেমন চলিতেছে ?” সীতারাম তৎক্ষণাৎ অম্লাদবদনে বলে, “বেশ চলিতেছে । কাল আমাদের ওখানে তোমার নিমন্ত্রণ রছিল।” সীতারামের বড়ো বড়ো কথাগুলা কিছু মাত্র কমে নাই, বরঞ্চ অবস্থা যতই মন্দ হইতেছে কথার পরিমাণ লম্বা ও চওড়ার দিকে ততই বাড়িতেছে। গীতারামের অবস্থা বড়ো মন্দ হইতে চলিল । সম্প্রতি এমন হইয়া দাড়াইয়াছে যে, পিসা তাহার অনারারি পিসা-বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া স্বদেশে ফিরিয়া যাইতে মানস করিতেছেন। আজ টাকার বিশেষ আবশ্যক হইয়াছে, সীতারাম রুক্মিণীর বাড়িতে আসিয়াছে । হাসিয়া কাছে ঘেঁষিয়া কহিল— “ভিক্ষ যদি দিবে রাই, (আমার ) সোনা রুপায় কাজ নাই, 購。 (আমি ) প্রাণের দায়ে এসেছি হে, মান রতন ভিক্ষণ চাই । না ভাই, ছড়াটা ঠিক খাটিল না । মান রতনে আমার আপাতত তেমন আবখ্যক নাই, যদি আবখ্যক হয় পরে দেখা যাইবে, আপাতত কিঞ্চিৎ সোনা রুপ পাইলে কাজে লাগে।” o & রুক্মিণী সহসা বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করিয়া কহিল, “তা তোমার যদি আবশুক হইয়া থাকে তো তোমাকে দিব না তো কাহাকে দিব ?” সীতারাম তাড়াতাড়ি কহিল, “না:–আবশুক এমনই কী। তবে কী জন তাই, আমার মার কাছে টাকা থাকে, আমি নিজের হাতে টাকা রাখি না। আজ সকালে মা জোড়াঘাটায় তার জামাইয়ের বাড়ি গিয়াছেন। টাকা বাহির করিয়া দিতে ভুলিয়া গেছেন। তা আমি কালই শোধ করিয়া দিব।”