বউ-ঠাকুরানীর হাট 8brや পড়িয়া প্ৰণাম করিল, পায়ের ধুলা মাথায় লইল। বিভী উঠিয় দাড়াইলে পর বসন্ত রায় একবার নিতান্ত একাগ্রাষ্টে বিভার মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিভা ?” আর কিছু বলিলেন না, কেবল জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিভা ?* যেন তাহার মনে একটি অতি ক্ষীণ আশা জাগিয়াছিল যে, সীতারাম যাহা বলিয়াছিল, তাহ সত্য ন হইতেও পারে । সমস্তটা স্পষ্ট জিজ্ঞাসা করিতে ভয় হইতেছে পাছে বিভা তাহার উত্তর দিয়া ফেলে। র্তাহার ইচ্ছা নয় যে বিভা তৎক্ষণাৎ তাহার এ প্রশ্নের উত্তর দেয় । তাই তিনি অতি ভয়ে ভয়ে বিভার মুখখানিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিভা ?” তাই তিনি অতি একাগ্রাষ্টে তাহার মুখের দিকে একবার চাহিলেন । বিভা বুঝিল এবং বিভ। উত্তর দিতেও পারিল না ; তাছার প্রথম আনন্দ-উচ্ছ্বাস ফুরাইয়া গেছে । আগে যখন দাদামহাশয় আসিতেন, সেইসব দিন তাহার মনে পড়িয়াছে । সে এক কী উৎসবের দিনই গিয়াছে। তিনি আসিলে কী একটা আনন্দই পড়িত। সুরমা হাসিয়া তামাশা করিত, বিভ! হাসিত কিন্তু তামাশা করিতে পারিত না, দাদা প্রশাস্ত আনন্দমূর্তিতে দাদামহাশয়ের গান শুনিতেন । আজ দাদামহাশয় আসিলেন, কিন্তু আর কেহ তাহার কাছে আসিল না, কেবল এই আঁধার সংসারে একলা বিভা— মুখের সংসারের একমাত্র ভগ্নাবশেষের মতে একলা দাদামহাশয়ের কাছে দাড়াইয়া আছে। দাদামহাশয় আসিলে যে-ঘরে আনন্দধ্বনি উঠিত— সেই সুরমার ঘর আজ এমন কেন ? সে আজ স্তষ্ক, অন্ধকার, শূন্তময়— দাদামহাশয়কে দেখিলেই সে ঘরটা ষেন এখনই কাদিয়া উঠিবে। বসন্ত রায় একবার কী যেন কিসের আশ্বাসে সেই ঘরের সম্মুখে গিয়া দাড়াইলেন– দরজার কাছে দাড়াইয়া ঘরের মধ্যে মাথা লইয়া একবার চারিদিক দেখিলেন, তৎক্ষণাৎ মুখ ফিরাইয়। বুকফাট কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “দিদি, ঘরে কি কেহই নাই ?” বিভা কাদিয়া উঠিয়া কহিল, “না দাদামহাশয়, কেহই নাই।” স্তন্ধ ঘরটা যেন হা হা করিয়া বলিয়া উঠিল, “আগে যাহারা ছিল তাহার cकङ्हे नाइँ ।” বসস্ত রায় অনেকক্ষণ পর্যন্ত চুপ করিয়া দাড়াইয়া রছিলেন, অবশেষে বিভার হাত ধরিয়া আস্তে আস্তে গাহিয়া উঠিলেন, আমিই শুধু রইছু বাকি । বসন্ত রায় প্রতাপাদিত্যের কাছে গিয়া নিতান্ত মিনতি করিয়া কছিলেন, “বাবা প্রতাপ, উদয়কে আর কেন কষ্ট দাও— সে তোমার কী করিয়াছে ? তাহাকে যদি তোমরা ভালো না বাস, পদে পদেই যদি সে তোমার কাছে অপরাধ করে তবে Q96:
