পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

n 4 ' -... i * , ... " 劇 * து *_* 顱 g 蟾 F. E. R. 妲 ബ ബ 啤 * 卿 باقی * # η s 橙 vi; ъ в f i i. g · o 略 r o , "", ! কারণ আমি স্থয়েজের খাধ খাইল জায়গার রেশি আর "ঞ্জেখিনি f শহৰে চারদিকে । SDDBB BBBB BBBB BBB BBBDS DDB BBD DDDBBB BB DD পূর্বে স্বয়েজ দেখেছিলেন, তারা বললেন, “এ পরিশ্রমে শ্রাপ্তি ও বিরক্তি ছাঞ্চ অস্ত কোনো ফললাভের সম্ভাবনা নেই ।” তাতেও আমি নিরুৎসাহ হই নি কিন্তু শুনলেম গাঁধায় চড়ে বেড়ানো ছাড়া শহরে বেড়াবার আর কোনো উপায় সেই । শুনে শহরে বেড়াবার দিকে টান আমার অনেকটা কমে গেল, তার পরে শোনা গেল, এ-দেশের গাধাদের সঙ্গে চালকদের সকল সযত্নে মতের ঐক্য হয় না, তারও একটি স্বতন্ত্ৰ স্বাধীন ইচ্ছে আছে ; এইজন্তে সময়ে সময়ে দুই ইচ্ছের বিরোধ উপস্থিত হয়, কিন্তু প্রায় দেখা যায়, গাধার ইচ্ছে পরিণামে জয়ী হয় । সুয়েজে একপ্রকার জঘন্ত রোগগ্ৰস্ত দেখতে পাবে। এখানকার মাছিরা ওই রোগ চারদিকে বিতরণ করে বেড়ায়। রোগগ্রস্ত চোখ থেকে ওই রোগের বীজ আহরণ করে তারা অরুগ্ন চোখে গিয়ে বলে, চারদিকে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। স্বয়েঙ্গে আমরা রেলগাড়িতে উঠলেম। এ রেলগাড়ির অনেকপ্রকার রোগ আছে, প্রথমত শোবার কোনো বন্দোবন্ত নেই, কেন না বসবার জায়গাগুলি অংশে অংশে বিভক্ত, দ্বিতীয়ত এমন গজগামিনী রেলগাড়ি সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায় না। সমস্ত রাত্রিই গাড়ি চলেছে, দিনের বেলা যখন জেগে উঠলেম তখন দেখলেম ধুলোয় আমাদের কেবল গোর হয় নি, আর সব হয়েছে। চুলে হাত দিতে গিয়ে দেখি, চুলে এমন এক স্তর মাটি জমেছে যে, মাথায় অনায়াসে ধান চাষ করা যায়। এইরকম ধুলোমাখা সন্ন্যাসীর বেশে আমরা আলেকজান্দ্রিয়াতে গিয়ে পৌছলেম । রেলের লাইনে দু-ধারে সবুজ শশুক্ষেত্র । জায়গায় জায়গায় খেজুরের গাছে থোলে থোলো খেজুর ফলে রয়েছে। মাঠের মাঝে মাৰে । কুয়ো । মাঝে মঝে দুই-একটা কোঠাবাড়ি-- বাড়িগুলো চৌকোন, থাম নেই, বারানা নেই– সমস্তটাই দেয়ালের মতো, সেই দেয়ালের মধ্যে মধ্যে দুই-একটা জানলা। এই সকল কারণে বাড়িগুলোর যেন ঐ নেই। যা হ'ক আমি আগে আফ্রিকার মাথা থেকে পা পর্যন্ত যে রকম অমুর্বর মরুভূমি মনে করে রেখেছিলুম, চারদিক দেখে তা কিছুই মনে হল না । বরং চার দিককার সেই হরিৎ ক্ষেত্রের উপয় খেজুরকুঞ্জের মধ্যে প্রভাতটি আমার অতি চমৎকার লেগেছিল ৷ । ११ আলেকজাজিয়া বন্দরে আমাদের জন্ত মঙ্গোলিয়া স্টীমার অপেক্ষা করছিল। এইবার আমরা ভূমধ্যসাগরের বক্ষে আরোহণ করলেন। জাম্বার একটু শত-শীত করতে লাগল। জাহাজে গিয়ে খুব ভাল করে স্থান করলেম, আমার তো, হাড়ে