পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l R# | -न् म’ i o _; \ l * רא o , or 4" | ) اله | | } | , ! } J r| ! I | & % 鸭 l لـ k | * l | * l | * i # * | A " i १ l l | o م J T I | | § "v , * | f | Y. } | ; i f !, i d l I i l so I f १ | o | a J т, n | | " | o * ' i تپ -潮 f so. o s k به n ե *

  • . * l 馨 ) i " f i "o, f l, J

i # # I J | d } l ভিতরে ভিতরে মনকে খুব দোল দিয়েছিল। নিজের অন্তরের দিকে চেয়ে ar একটা ধারণ আমার মধ্যে জেগে উঠেছিল যে, আমার প্রতি মুহূর্তের সমস্ত , ভালোমন্দ, আমার প্রতি দিনের মুখস্থঃখের সমস্ত অভিজ্ঞতা চিরকালের । মতো অনবরত একটা স্বষ্টিরূপ ধরছে, প্রকাশ-অপ্রকাশের নিত্য ওঠাপড় নিয়ে যে স্থষ্টির স্বরূপ। এই কথাটা ভাবতে ভাবতেই মনে হল, মৃত্যু তাহলে কী। এক রকম করে তার উত্তর এসেছিল এই যে, জীবন । সব-কিছুকে রাখে আর মৃত্যু সব-কিছুকে চালায়। প্রতি মুহূর্তেই মরছি আমি, আর সেই মরার ভিতর দিয়েই আমি বঁাচার রাস্তায় এগোচ্ছি, যেন আমার মধ্যে সেলাইয়ের কাজ চলছে, গাথ পড়ছে অতীত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান। মুহূর্তকালীন মৃত্যুপরম্পরা দিয়ে মর্ত্যজীবন এই যেমন বেড়ে চলেছে প্রবালদ্বীপের মতে, তেমনি মৃত্যুর পর মৃত্যু আমাকে দিয়ে লোক-লোকান্তরের অভিজ্ঞতার জাল বিস্তার করে চলবে— আমার চেতনার সূত্রটিকে নিয়ে মৃত্যু এক-এক ফোড়ে এক-এক লোককে সম্বন্ধসূত্রে গাথবে। মনে আছে, এই চিন্তায় আমার মনকে খুব আনন্দ দিয়েছিল। প্রতিধ্বনি’ কবিতা লিখেছিলুম যখন প্রথম গিয়েছিলুম দাৰ্জিলিঙে । যে ভাবে তখন আমাকে আবিষ্ট করেছিল সেটা এই যে— বিশ্বস্বষ্টি হচ্ছে একটা ধ্বনি, আর সে প্রতিধ্বনিরূপে আমাকে মুগ্ধ করছে, ক্ষুব্ধ করছে, আমাকে জাগিয়ে রাখছে, সেই সুন্দর, সেই ভীষণ । স্বষ্টির সমস্ত গতিপ্রবাহ নিত্যই একটা কোন কেন্দ্রস্থলে গিয়ে পড়ছে আর সেখান থেকে প্রতিধ্বনিরূপে নিঝরিত হচ্ছে আলো হয়ে, রূপ হয়ে, ধ্বনি হয়ে। এই ভাবগুলো যদিও অস্পষ্ট তবু আমার মনের মধ্যে খুব প্রবল হয়ে আন্দোলিত হচ্ছিল, মুখে মুখে কোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে আলোচনাও করেছি। কিন্তু এ-সকল ভাবনা তখন কী গছে কী পন্তে আলোচনা করবার সময় হয়নি, তখনও পাইনি ভাষাভারতীর প্রসাদ । তাই বলে রাখছি, প্রভাতসংগীতে এ-সমস্ত লেখার আর-কোনো মূল্য যদি থাকে, সে ষোলো-আনা সাহিত্যিক মূল্য নয়। ।