Sbr রবীন্দ্ৰ —রচনাব লা আদরিণী একটুখানি সোনার বিন্দু, একটুখানি মুখ এক একটি বনফুল ফোটে-ফোটে হয়েছে, কচি কচি পাতার মাঝে মাথা থুয়ে রয়েছে । চার দিকে তার গাছের ছায়া, চার দিকে তার নিযুতি, চার দিকে তার ঝোপে-ঝাপে আধার দিয়ে ঢেকেছে— বনের সে যে স্নেহের ধন আদরিণী মেয়ে, তারে বুকের কাছে লুকিয়ে যেন রেখেছে ! একটুখানি রূপের হাসি আঁধারেতে ঘুমিয়ে আলা। বনের স্নেহ, শিয়রোতে জেগে আছে । সুকুমার প্রাণটুকু তার কিছু যেন জানে না, চোখে শুধু সুখের স্বপন লেগে আছে । একটি যেন রবির কিরণ ভোরের বেলা বনের মাঝে খেলাতেছিল নিচে নোচে, নির্যালাতে গাছের ছায়ে আধারেতে শ্রান্তকায়ে সে যেন ঘুমিয়ে পড়েছে । বনদেবী করুণ হিয়ে তারো যেন কুড়িয়ে নিয়ে যতন করে আপনি ঘরেতে | থুয়ে কোমল পাতার পরে মায়ের মতো স্নেহভরে ছোয় তারে কোমল করেতে ; ধারি। ধারি বাতাস গিয়ে আসে তারে দোলা দিয়ে, চোখেতে চুমো খেয়ে যায় । ঘুরে ফিরে আশেপাশে বার বার ফিরে আসে, হাতটি বুলিয়ে দেয় গায় । একলা পাখি গাছের শাখে কাছে তোর বসে থাকে, সারা দুপুরবেলা শুধু ডাকে, যেন তার আর কেহ নাই, সারা দিন একলাটি তাই স্নেহভরে তোরে নিয়েই থাকে । LLL gBB BD DB D DSBBB D SB DSD D0DS রাতের বেলায় কোথায় চলে যায়, দুপুরবেলা কাছে আসে- সারা দিন বসে পাশে একটি শুধু আদরের গান গায় । রাতে কত তারা ওঠে, ভোরের বেলা চলে যায়— তোরে তো কেউ দেখে না, জানে না । এক কালে তুই ছিলি যেন ওদেরই ঘরের মেয়ে, আজকে রে তুই অজানা অচেনা |
