পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছবি ও গান > ○ > আধো-খোলা অধরোতে তার চুমো খেয়ে যায় কত বার । সারা রাত মেহাসুখে তারাগুলি চায় মুখে, কত কী যে করে বলাবলি ! যেন তারা আঁচলেতে আঁধারে আলোতে গেথে হাসিমাখা সুখের স্বপন, ধীরে ধীরে স্নেহভরে শিশুর প্রাণের পরে একে একে করে বরিষন ।। ওদেরো নয়নগুলি ফুটিয়া উঠিবে খুলি, কোথায় মিলায়ে যাবে ঘুম | প্ৰভাতের আলো জাগি যেন খেলাবার লাগি ওদের জাগায়ে দিতে চায়, আলোতে ছেলেতে ফুলে একসাথে আঁখি খুলে প্ৰভাতে পাখিতে গান গায় । বিদায় সে যখন বিদায় নিয়ে গেল, তখন নবমীর চাদ অস্তাচলে যায় । গভীর রাতি নিঝুম চারি দিক, আকাশেতে তারা অনিমিখ, ধরণী, নীরবে ঘুমায় । হাত দুটি তার ধ’রে দুই হাতে মুখের পানে চেয়ে সে রহিল, কাননে বকুল-তরুতলে একটিও সে কথা না কহিল । অধরে প্রাণের মলিন ছায়া, যাবার বেলা দুটি কথা বলে বনপথ দিয়ে সে চলে গেল । ঘন গাছের পাতার মাঝে আঁধার পাখি গুটিয়ে পাখা, ছায়াগুলি এলিয়ে দেহ আঁচলখনি পেতে যেন গাছের তলায় ঘুমিয়ে রয়েছে। গভীর রাতে বাতাসটি নেই।— নিশীথে সরাসীর জলে কঁপে না বনের কালো ছায়া,