পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N ) O ছিড়ি ছিড়ি কেশপাশ৷ কতু কান্না কভু হাস প্ৰাণ ভরে করিবে চীৎকার, বজ-আলিঙ্গন দিয়ে বুকে তোরে জড়াইয়ে ছুটিতে গিয়েছে সাধ তার । স্মৃতি-প্রতিমা সমুখেতে চেয়ে চেয়ে ॐ• ९४• (क: (?: বসে বসে ভাবি এক বার | আজি বহু দিন পরে যেন সেই দ্বিপ্রহরে সেদিনের বায়ু বহে যায়, হা রে হা শৈশবমায়া অতীত প্ৰাণের ছায়া, এখনো কি আছিস হেথায় ? এখনো কি থেকে থেকে উঠিস রে ডেকে ডেকে, সাড়া দিবে সে কি আর আছে ? যা ছিল তা আছে সেই, আমি যে সে আমি নেই, কেন রে আসিস মোর কাছে ? কেন রে পুরানো স্নেহে পরানের শূন্য গেহে। দাড়ায়ে মুখের পানে চাস ? অভিমানে ছলছল নয়নে কী কথা বল, কেঁদে ওঠে। হৃদয় উদাস । আছিল যে আপনার সে বুঝি। রে নাই। আর, সে বুঝি। রে হয়ে গেছে পর— তবু সে কেমন আছে শুধাতে আসিস কাছে, দাড়ায়ে কঁাপিস থর থর । আয় রে আয় রে অয়ি, শৈশবের স্মৃতিময়ী, আয় তোর আপনার দেশেযে প্ৰাণ আছিল। তেরি তাহারি দুয়ার ধরি কেন আজ ভিখারিনী-বেশে ! আগুসরি ধীরি ধীরি বার বার চাস ফিরি, সংশয়েতে চলে না। চরণভয়ে ভয়ে মুখপানে- চাহিস আকুল প্রাণে, স্নান মুখে না। সরে বচন । দেহে যেন নাহি বল, চোখে পড়ে-পড়ে জল, এলো চুলে, মলিন বসনে— কথা কেহ বলে পাছে ভয়ে না। আসিস কাছে, চেয়ে রোস আকুল নয়নে । সেই ঘর সেই দ্বার মনে পড়ে বার বার কত যে করিলি খেলাধূলি—