পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ミと রবীন্দ্র-রচনাবলী চরণে বাধিছে বাধা, পাষাণে বাজিছে মাথা, কাদিছে বসিয়াঅগ্নিহাসি উপহাসি উল্কা অভিশাপশিখা পড়িছে খসিয়া । তাদের মাথার পরে সীমাহীন অন্ধকার उठदी 66((७, আঁধারের ভারে যেন নুইয়া পড়িছে মাথা মাটির পানেতে | চায় চারি ধারে— ঘোর আঁধারের মাঝে কোথা কী লুকায়ে আছে কে বলিতে পারে । গহন বনের মাঝে চলিয়াছে শিশু খেলাবার তরে অমনি হারায়ে পথ কেঁদে ওঠে শিশু, ডাকে “মা মা” বলে “আয় মা, আয় মা, আয়, কোথা চলে গেলি, মোরে নে মা কোলে |’ মা আমনি চমকিয়া “বাছা বাছা” বলে ছোটে, দেখিতে না পায়— শুধু সেই অন্ধকারে “মা মা” ধ্বনি পশে কানে, চারি দিকে চায় । সহসা সমুখ দিয়া কে গেল ছায়ার মতো, লাগিল তারাস, কে জানে সহসা যেন কোথা কোন দিক হতে শুনি দীর্ঘশ্বাস । কে বসে রয়েছে পাশে ? কে ছুইল দেহ মোর হিমহস্তে তার ? ? ও কী ও ? এ কী রে শুনি ! কোথা হতে উঠিল রে ঘোর হাহাকার ? ও কী হােথা দেখা যায়— ওই দূরে অতি দূরে ও কিসের আলো ? ও কী ও উড়িছে। শূন্যে দীর্ঘ নিশাচর পাখি ? মেঘ কালো কালো ? এই আঁধারের মাঝে কত-না অদৃশ্য প্ৰাণী কাদিছে বসিয়া—