পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী অন্ধকারে আপনারে দেখিতে না পাই যত তত ভালোবাসি, তত তারে বুকে করে বাহুতে বাধিয়া লয়ে হরষেতে ভাসি । তত যেন মনে হয় পাছে রে চলিতে পথে তৃণ ফুটে পায়, যতনের ধন পাছে চমকি কাদিয়া ওঠে কুসুমের ঘায় ! সদা হয় অবিশ্বাস করেও চিনি না হেথা, সবি অনুমান, ভালোবেসে কাছে গেলে দূরে চলে যায় সবে, ভয়ে কাপে প্ৰাণ । দেখিবারে পায়— মরমের দীর্ঘশ্বাস মরমে রুধিয়া রাখে, পাছে শোনা যায় । সখারে কাদিয়া বলে— “বড়ো সাধ যায় সখা, দেখি ভালো করে ! তুই শৈশবের বঁধু, চিরজন্ম কেটে গোল দেখিন না তোরে ! বুঝি তুমি দূরে আছ, একবার কাছে এসে (M2Ng (NNR সে অমনি কেঁদে বলে- “আপনারে দেখি নাই কী দেখাব হয় ।” অন্ধকার ভাগ করি, আঁধারের রাজ্য লয়ে চলিছে বিবাদ । সখারে বধিছে সখা, সন্তানে হানিছে পিতা ঘোর পরমাদ । কাছে ঘুরে ঘুরে । মাংস লয়ে টানাটানি, করিতেছে হানাহানি শৃগালে কুকুরে । অন্ধকার ভেদ করি অহরহ শুনা যায় আকুল বিলাপ— আহতের আর্তস্বর, হিংসার উল্লাসধবনি, ঘোর অভিশাপ । মাঝে মাঝে থেকে থেকে কোথা হতে ভেসে আসে। ফুলের সুবাস—