পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল উৎসবের হাসি-কোলাহল শুনিতে পেয়েছে ভোরবেলা, তাই আজ বাহির হইয়া । আসিয়াছে ধনীর দুয়ারে দেখিবারে আনন্দের খেলা । বাজিতেছে। উৎসবের বঁাশি, কানে তাই পশিতেছে আসি, স্নান চোখে তাই ভাসিতেছে দুরাশার সখের স্বপন ; চারি দিকে প্ৰভাতের আলো আকাশেতে মেঘের মাঝারে শারতের কনক তপন । কত কে যে আসে, কত যায়, কেহ হাসে, কেহ গান গায়, কত বরনের বেশভূষা— ঝলকিছে কাঞ্চন-রাতন, কত পরিজন দাসদাসী, পুষ্প পাতা কত রাশি রাশি মরীচিকা-ছবির মতন । শূন্যমনা কাঙালিনী মেয়ে । শুনেছে সে, মা এসেছে। ঘরে, তাই বিশ্ব আনন্দে ভেসেছে, মার মায়া পায় নি কখনো, মা কেমন দেখিতে এসেছে । বাম্পে ঢাকা নয়নের তারা ! চেয়ে যেন মার মুখপানে বলে, “মা গো, এ কেমন ধারা । এত বঁশি, এত হাসিরাশি, এত তোর রতন-ভূষণ, তুই যদি আমার জননী মোর কেন মলিন বসন !” ছোটাে ছোটাে ছেলেমেয়েগুলি ভাইবোন করি গলাগলি অঙ্গনেতে নাচিতেছে। ওই ; SVG