পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল অস্তমান রবি আজ কি, তপন, তুমি যাবে অস্তাচলে না শুনে আমার মুখে একটিও গান ! দাড়াও গো, বিদায়ের দুটি কথা বলে আজিকার দিন আমি করি অবসান । থামো ওই সমুদ্রের প্রান্তরেখা-পরে, মুখে মোর রাখো তব একমাত্র আঁখি । তুমি চেয়ে থাকো আর আমি চেয়ে থাকি । দুজনের আঁখি-পরে সায়াহ্ন-আঁধার আঁখির পাতার মতো আসুক মুদিয়া, গভীর তিমিরস্নিগ্ধ শান্তির পাথার নিবায়ে ফেলুক আজি দুটি দীপ্ত হিয়া । শেষ গান সাঙ্গ করে থেমে গেছে পাখি, আমার এ গানখানি ছিল শুধু বাকি । সন্ধ্যাসূর্যের প্রতি আমার এ গান তুমি যাও সাথে করে নূতন সাগরতীরে দিবসের পানে । এ গান উষার কুলে পশে কারো কানে! সারা রাত্ৰি নিশীথের সাগর বাহিয়া স্বপনের পরপারে। যদি ভেসে যায়, প্ৰভাত-পাখিরা যাবে উঠিবে গাহিয়া আমার এ গান তারা যদি খুঁজে পায় । গোধূলির তীরে বসে কেঁদোছে যে জন, ফেলেছে আকাশে চেয়ে অশ্রািজল কত, নবপ্ৰভাতের মাঝে শিশিরের মতো । সায়াহ্নের কুঁড়িগুলি আপনা। টুটিয়া প্রভাতে কি ফুল হয়ে উঠে না ফুটিয়া ! ! NROS)