পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳ Օ পরিপূর্ণ পূর্ণিমার মাঝে উর্ধবমুখে চকোর যেমন আকাশের ধারে যায়, ছিড়িয়া দেখিতে চায় অগাধ-স্বপন-ছাওয়া জ্যোৎস্না-আবরণ তেমনি সভয়ে প্ৰাণ মোর তুলিতে যাইত কত বার একান্ত নিকটে গিয়ে সমস্ত হৃদয় দিয়ে মধুর রহস্যময় সৌন্দর্য তোমার । , প্রেমের প্রথম আনাগােনা, সেই হাতে হাতে ঠেকা, সেই আধো চোখে দেখা, চুপিচুপি প্ৰাণের প্রথম জানাশোনা ! অজানিত সকলি নূতন, অবশ্য চরণ টলমল ! কোথা পথ কোথা নাই, কোথা যেতে কোথা যাই, কোথা হতে উঠে হাসি কোথা অশ্রািজল ! অতৃপ্ত বাসনা প্ৰাণে লয়ে অবারিত প্রেমের ভবনে যাহা পাই তাই তুলি, খেলাই আপনা ভুলি— কী যে রাখি কী যে ফেলি বুঝিতে পারি নে। ক্রমে আসে আনন্দ-আলস কুসুমিত ছায়াতরুতলে জাগাই সরসী জল, ছিড়ি বসে ফুলদল, ধূলি সেও ভালো লাগে খেলাবার ছলে । অবশেষে সন্ধ্যা হয়ে আসে, শ্রান্তি আসে হৃদয় ব্যাপিয়াথেকে থেকে সন্ধ্যাবায় করে ওঠে। হায়-হায়, অরণ্য মমরি ওঠে কঁপিয়া কঁপিয়া । মনে হয় একি সব ফাকি ! এই বুঝি, আর কিছু নাই ! অথবা যে রত্ব-তরে এসেছিনু আশা ক’রে অনেক লইতে গিয়ে হারাইনু তাই !