পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধ্যাসংগীত ঘুমাই বা জেগে থাকি, মনের দ্বারের কাছে কে যেন বিষন্ন প্ৰাণী দিনরাত বসে আছে— চিরদিন করিতেছে বাস, তারি শুনিতেছি যেন নিশ্বাস-প্ৰশ্বাস । এ প্ৰাণের ভাঙা ভিতে স্তব্ধ দ্বিপ্রহরে ঘুঘু এক বসে বসে গায় একস্বরে, কে জানে কেন সে গান গায় । বলি সে কাতর স্বরে স্তব্ধতা কাদিয়া মরে, প্ৰতিধ্বনি করে হায়-হায় । হৃদয় রে, আর কিছু শিখিলি নে তুই, শুধু ওই গান ! প্রকৃতির শত শত রাগিণীর মাঝে শুধু ওই তান ! তবে থাম থাম ওরে প্রাণ, |ারি নে শুনিতে আর একই গান, একই গান । দুঃখ-আবাহন আয় দুঃখ, আয় তুই, তোর তরে পেতেছি আসন, বিচ্ছিন্ন শিরার মুখে তুযিত অধর দিয়া বিন্দু বিন্দু রক্ত তুই করিস শোষণ ; জননীর স্নেহে তোরে করিব পোষণ । হৃদয়ে আয় রে তুই হৃদয়ের ধন । অতি গুরু তোর ভার দু-একটি শিরা তাহে যাবে বুঝি ছিড়ে, যাক ছিড়ে । জননীর স্নেহে তোরে করিব বহন একেলা বসিয়া ঘরে অবিরল একসারে গাব তোর কানে কানে ঘুম পাড়াবার গান । মুদিয়া আসিবে তোর শ্রান্ত দু-নয়ান । শ্ৰান্ত কপালেতে তোর করিবে বাতাস, তুই নীরবে ঘুমাস । Sq