8 (V) বিক্রমদেব | সুমিত্ৰা । বিক্রমদেব । রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী নহি আমি রাজা । শূন্য সিংহাসন কঁদে । জীর্ণ রাজকাৰ্যরাশি চুৰ্ণ হয়ে যায় তোমার চরণতলে ধূলির মাঝারে । শুনিয়া লজায় মারি । ছিছি। মহারাজ, এ কি ভালোবাসা ? এ যে মেঘের মতন রেখেছে। আচ্ছন্ন করে মধ্যাহ্ন-আকাশে উজ্জ্বল প্ৰতাপ তব | শোনো প্ৰিয়তম, আমার সকলি তুমি, তুমি মহারাজা, তুমি স্বামী— আমি শুধু অনুগত ছায়া, তার বেশি নই। আমারে দিয়ে না লাজ, আমারে বেসে না ভালো রাজশ্ৰীীর চেয়ে । চাহ না আমার প্ৰেম ? কিছু চাই নাথ, সব নহে । স্থান দিয়ো হৃদয়ের পাশে, সমস্ত হৃদয় তুমি দিয়ে না। আমারে । আজো রমণীর মন নারিনু বুঝিতে । তোমরা পুরুষ, দৃঢ় তরুর মতন আপনি অটল রবে আপনার পরে বিক্রমদেব । কাঞ্চকী । বিক্রমদেব । স্বতন্ত্র উন্নত, তবে তো আশ্রয় পাব আমরা লতার মতো তোমাদের শাখে | তোমরা সকল মন দিয়ে ফেল যদি কে রহিবে আমাদের ভালোবাসা নিতে, কে রহিবে বহিবারে সংসারের ভার ? উদাসীন, কিছু মুক্ত, কিছু বা জড়িত--- সহস্ৰ পাখির গৃহ, পান্থের বিশ্রাম, তপ্ত ধরণীর ছায়া, মেঘের বান্ধব, ঝটিকার প্রতিদ্বন্দ্বী, লতার আশ্রয় । কথা দূর করো প্রিয়ে ! হেরো সন্ধ্যাবেলা মৌনপ্রেমসুখে সুপ্ত বিহঙ্গের নীড়, নীরব কাকলি । তবে মোরা কেন দোহে কথার উপরে কথা করি বরিযন ? অধর অধরে বসি প্রহরীর মতো চপল কথার দ্বার রাখুক রুধিয়া । কাঞ্চকীর প্রবেশ এখনি দর্শনপ্রাথী মন্ত্রীমহাশয়, গুরুতর রাজকাৰ্য, বিলম্ব সহে না । ধিক তুমি ! ধিক মন্ত্রী ! ধিক রাজকাৰ্য্য ! রাজ্য রসাতলে যাক মন্ত্রী লয়ে সাথে । [কাঞ্চকীর প্রস্থান
